বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৫১
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: নভেম্বর ২, ২০২২ , ৫:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: Uncategorized
দিনের শেষে ডেস্ক : বৃষ্টির কারণে ওভার কমে খেলা হবে ১৬ ওভারে। বাংলাদেশের সামনে বৃষ্টি আইনে লক্ষ্য ১৫১। ৫৪ বলে প্রয়োজন ৮৫ রান। বাংলাদেশের হাতে আছে এখনো ১০ উইকেট। বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা, ১৭ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ
২১ বলে লিটনের রেকর্ড ফিফটি, পাওয়ার প্লেতে ৬০
মাত্র ২১ বলে ফিফটি করেছেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ৬ চার ও তিন ছয়ে অর্ধশতকের দেখা পান লিটন। লিটনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু করে। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে আসে ৬০ রান। ৩৩ ম্যাচ পর বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের বেশি করে।
বাংলাদেশের দারুণ শুরু
লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ দারুণ শুরু করেছে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আর্শদীপ সিংকে তিন চারে নেন ১২ রান। এই ওভারে অবশ্য অল্পের জন্য বেঁচে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ গেলেও দীনেশ কার্তিক ধরার আগে বল মাটিতে ড্রপ করে। পরের ওভারে ভুবেনশ্বর কুমারকে ১ ছয় দুই চার হাঁকিয়ে নেন ১৬ রান। ৩ ওভারে ৩০ রান নিয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দারুণ।
কী দারুণ শুরু বাংলাদেশের। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১১ রান নিতে পারলো ভারত। রোহিত শর্মার (২) ক্যাচ ছাড়ার পর নিজে বোলিংয়ে এসে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন হাসান মাহমুদ। ১১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ক্রিজে নামেন বিরাট কোহলি। বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। রাহুলের সঙ্গে তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছন্নছাড়া বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। ৩৭ বলে ৬৭ রানের জুটি ভেঙে যায় রাহুলের বিদায়ে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেছে ভারতের। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে কোহলি দলকে বড় স্কোরের পথে নিতে থাকেন। ৩৭ বলে এই আসরের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ৪৪ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে ভারত।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার খেয়েছেন শরিফুল। সৌম্য সরকারের বদলে একাদশে ঢোকা এই পেসার ৪ ওভারে ৫৭ রান দেন। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওভারেই দেন ২৪ রান।
হাসান ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার। দুটি পান সাকিব, ৪ ওভারে তিনি দেন ৩৩ রান। মোস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন খরুচে, দেন ৩১ রান। আগেভাগেই চার ওভারের কোটা শেষ করা তাসকিন আহমেদ দেন মাত্র ১৫ রান।
শেষ ওভারে ১৪ রান দিলেন শরিফুল
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ২৪ রান দেওয়া শরিফুল ইসলাম করলেন শেষ ওভার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন তাকে পরপর দুটি বলে ছয় ও চার মারলেন। তাতে হয়ে গেলো বাংলাদেশি বোলারের হাফ সেঞ্চুরি. ৩.৩ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ফেললেন তিনি। ওই ওভারে ১৪ রান দেন শরিফুল।
হাসানের তৃতীয় শিকার অক্ষর
তৃতীয় উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে অক্ষর প্যাটেলকে (৭) সাকিব আল হাসানের ক্যাচ বানান তিনি।
কোহলির পঞ্চাশ
বিশ্বকাপের এই আসরে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করলেন বিরাট কোহলি। ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দুটি রান নিয়ে ৩৭ বলে পঞ্চাশের দেখা পান ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ফিফটি করার পথে ৭টি চার মারেন তিনি।
পরের বলে ভারত তাদের পঞ্চম উইকেট হারায়। রান আউট হন দিনেশ কার্তিক (৭)।
হাসানের দ্বিতীয় শিকার হার্দিক
ইনিংস বড় করতে পারলেন না হার্দিক পান্ডিয়া। ১৬তম ওভারে হাসান মাহমুদের প্রথম বলে ভুল শট খেলে পয়েন্টে ইয়াসির আলী রাব্বির ক্যাচ হন তিনি। ৬ বলে করেন ৫ রান।
সূর্যকে ফেরালেন সাকিব
জ্বলে উঠেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদকে তিনটি চার মেরেছিলেন তিনি। তাকে থামালেন সাকিব আল হাসান। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে তাকে ৩০ রানে বোল্ড করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৬ বলে চারটি চারে এই রান করেন তিনি।