আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য বেতন কমছে যেসব চাকরিজীবীদের!

বেতন কমছে যেসব চাকরিজীবীদের!


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৫, ২০২০ , ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক :  বর্তমান করোনা সংকট উত্তরণে চাকরিজীবীদের ছাঁটাই না করে আগামী ৬ মাসের জন্য তাদের বেতন-ভাতা ১৫ শতাংশ কমানোর কথা বলেছে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। একই সঙ্গে কর্মীদের পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেন্টিভ বোনাস বন্ধ করাসহ ব্যাংক বাঁচাতে আরো ১৩ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

গত রোববার বিএবির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি বিএবি সদস্যভুক্ত সব বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যাংকগুলোতে চলমান নিয়োগসহ সব নিয়োগ বন্ধ রাখার সুপারিশও করা হয়েছে। এছাড়া নতুন শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও উপ-শাখা খোলা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। করোনা সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মী ছাঁটাই না করে ব্যাংককে সচল রাখার জন্য প্রস্তাবগুলো দেয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চলতি বছরের ১ জুলাই ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ছয় মাসের জন্য এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে বিএবি।

১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, সব প্রকার স্থায়ী সম্পদ ক্রয় বন্ধ রাখা, কর্মীদের লোকাল ও বিদেশি প্রশিক্ষণ বন্ধ রাখা, সব বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখা, সব প্রকার সিএসআর, ডোনেশন, চ্যারিটি বন্ধ রাখা, পত্রিকা (প্রিন্ট ও অনলাইন) ও টেলিভিশনে সব প্রকার বিজ্ঞাপন প্রদান বন্ধ রাখা, সব কাস্টমার গেট-টুগেদার বন্ধ রাখা। এছাড়া, কর্মকর্তাদের গেট-টুগেদার ও ব্যবস্থাপক সম্মেলন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এসব সম্মেলন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে নিজস্ব পরিমণ্ডলে করতে হবে। এ ছাড়া বড় ধরনের ব্যয় (আইটি সম্পর্কিত, সফটওয়ার, হার্ডওয়ার ক্রয়) আপাতত সীমিত রাখা এবং অন্য সব ব্যয় কমিয়ে আনার সুপারিশও করা হয়েছে।

চিঠিতে বিএবি বলেছে, বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ব্যাংকের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। কমে গেছে বিনিয়োগের উপর সুদের হারও। ব্যাংকের ঋণ আদায় প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। ক্যাংকের বকেয়া ঋণের পরিমাণ বাড়লেও আদায় প্রায় শূন্য। আমদানি-রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে কমাসহ ব্যাংকের সব ধরনের আয় কমে গেছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে বিপুল অঙ্কের ব্যয় নির্বাহ করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকের আয় কমে যাওয়ায় ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির কারণে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে ব্যয় কমাতে অনেক ব্যাংক ইতোমধ্যে নিজে থেকেই কর্মীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।