আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে কিনা নজরে রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছে কিনা নজরে রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২৫, ২০২১ , ১:২৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিনিয়োগের জন্য গঠিত ২০০ কোটি টাকার ফান্ড ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করছে কিনা তা নজরে রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও ব্যাংকগুলোর বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) এই আশ্বাস দেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ডের সীমা বেঁধে দেয়। এরপর থেকে নেতিবাচক ধারা চলে পুঁজিবাজারে। এই অবস্থা উত্তোরনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে চার প্রস্তাব তুলে ধরে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই)। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডিএসইকে আশ্বস্ত করলেন।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। এতে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল মতিন পাটোয়ারী, ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান ও কেএম মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ডেপুটি-গভর্নর ছায়েদুর রহমানসহ নির্বাহী পরিচালক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে ডিএসইর এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে পুঁজিবাজারে বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ডের সীমা নির্ধারণ করেছে। এগুলো তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন ভালো করে যাচাই-বাছাই করার জন্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় আনার জন্য আমরা বলেছি। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এ বেরিয়ার তুলে ফেলতে বলেছি। এছাড়া পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত ২০০ কোটি টাকার ফান্ড বিনিয়োগ যথাযথভাবে করছে কি না তা মনিটরিং করার জন্য বলেছি। এর জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের অবস্থা ভালো না। তাই তারা যাতে বেশি ডিভিডেন্ড না দিয়ে প্রভিশনিং করে আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয় সেই জন্য এটা করা হয়েছে। তবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোনো আইন বা নিয়ম করার আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া পুঁজিবাজারে যাতে বন্ড এবং ট্রেজারি বন্ড, সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় সেই ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছি। তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) বলেছে, আইন পরিবর্তন করতে হবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সামনে কাজ করব। গত ১৪ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস এবং বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাশ ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ডের পাশাপাশি বোনাস শেয়ারও ডিভিডেন্ড ঘোষণা দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
এরপর ১৬ মার্চ ব্যাংকগু‌লোর ডিভিডেন্ড দেওয়ার সীমা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাশ ও বোনাস মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড দিতে পারবে ব্যাংকগু‌লো। আগে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ডিভিডেন্ড দেওয়ার অনুমোদন ছিল। তার পর গত ২২ মার্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড দেওয়ার সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন শেয়ার‌হোল্ডা‌দের ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১৫ শতাংশ বোনাসসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দি‌তে পার‌বে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)।