ভারতের যেখানে ‘লিভ-ইন’ বৈধ
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৩, ২০১৬ , ১২:১৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: এক্সক্লুসিভ
অনলাইন ডেস্ক: ‘লিভ-ইন’ বা বিবাহপূর্ব নারী-পুরুষ একসঙ্গে থাকা নিয়ে ভারতীয় সমাজের বিতর্কের শেষ নেই। এমনকী সুপ্রিম কোর্টও এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। অথচ, ভারতের রাজস্থানের জয়পুরের নয়াবাস গ্রামে গ্লসিয়া জনগোষ্ঠী কয়েক শতক ধরে ‘লিভ-ইন’ সম্পর্ক পালন করে আসছে। এমনকি শুধু প্রাপ্ত বয়স্করাই নয়, সেখানে লিভ-ইন করতে পারে অল্প বয়সী, বিধবা বা বিবাহ বিচ্ছিন্নরাও।
পুরুষ ও নারীর মিলন মানেই যে তাকে বিবাহের রূপ দিতে হবে এটা মনে করে না গ্লসিয়ারা। তাদের মতে, বিবাহের অর্থ বংশ বৃদ্ধি। সুতরাং, বিয়ের আগে পুরুষ এবং নারী একে অপরের সঙ্গে বসবাস করে যদি দেখে তারা সন্তান উৎপাদনে সক্ষম, তবেই তারা বিবাহের পথে অগ্রসর হতে পারে। এমনকী, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও তারা ইচ্ছা করলে বিবাহ নাও করতে পারে।
গ্লসিয়াদের কনে বাছাই করাটাও খুব চমকপ্রদ। এলাকায় মেয়েদের নিয়ে মেলা বসে। সেই মেলা থেকে নিজের পছন্দের মেয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় গ্লসিয়া যুবকরা। এরপর তাদের খুঁজে বের করার পালা। বর বা কনে পক্ষ এবার কনে ও পাত্রের খোজ চালায়। যারা আগে খোঁজ পাবে তারা অন্য পক্ষের কাছে অর্থ দাবি করে। এটাই গ্লসিয়াদের রীতি।
শুধু যুবক-যুবতীরাই নয়, কমবয়সী থেকে বিধবা নারী সকলেরই অধিকার আছে পছন্দের মানুষের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার এবং ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কে থাকার। এমনও পুরুষ এবং নারী আছেন যারা সারাজীবন একসঙ্গে থেকেছেন, তাদের সন্তানরাও বড় হয়েছে, কিন্তু দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন একদম বুড়ো বয়সে। সেই বিয়ের আয়োজন করেছে তাদের সন্তানরাই।