ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১৬ জনের মৃত্যু
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৩, ২০২৪ , ১২:৫৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক ধর্মীয় উৎসব চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১১৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বঘোষিত গুরু বাবা নারায়ণ হরির সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর তাকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
এনডিটিভি বলছে, বাবা নারায়ণের প্রকৃত নাম হচ্ছে সুরাজ পাল, তিনি সাকার বিশ্ব হরি ভোলে বাবা নামেও পরিচিত। ধারণা করা হচ্ছে, ফুলরাই গ্রাম থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে মাইনপুরীতে তিনি তার আশ্রমে ছিলেন। সেখানেই তিনি হাজার হাজার ভক্তদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান করেন।
ইতোমধ্যে দেশটির অনেক ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা হাথরাসে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, এ ছাড়া অন্যরা গেছেন নারায়ণের আশ্রম রাম কুঠির চ্যারিটেবল ট্রাস্টে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বিকেলে যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছিল এবং সেই তুলনায় জায়গা ছিল অনেক কম।
সৎসঙ্গে যোগ দেওয়া এক নারী বলেছেন, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর লোকেরা যখন বের হতে শুরু করে তখন পদচাপা শুরু হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, সৎসঙ্গের পর ভক্তরা বাবা নারায়ণের পা ছোঁয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে অল্প একটু জায়গায় অনেক লোকের ভিড় হয়।
এই ঘটনা তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সৎসঙ্গের আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এফআইআর-এর বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই স্থানে ৮০ হাজার লোকের উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ছিল কিন্তু আড়াই লাখের বেশি ভক্ত হাজির হন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তরফে একটি বিবৃতি জারি করে হাথরাসের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া এবং ঘটনাস্থলে ত্রাণ বিলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া এই ঘটনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট শোক প্রকাশ করেছেন।