ভাসানচরের পথে আরও ১ হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গা
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৯, ২০২২ , ৪:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
এর আগে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার মাধ্যমে উখিয়া কলেজ মাঠে আসেন রোহিঙ্গারা। অনেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও আসেন ট্রানজিট পয়েন্টে। ১১ দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬৫৪ জন রোহিঙ্গা এবং এর আগে ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান বলে জানান ১৪-এপিবিএন কমান্ডার (এসপি) নাইমুল হক নাইম।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সামছুদ্দৌজা নয়ন জানান, ১২ দফার প্রথম ধাপে ১৪৩৭ রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছে। আগের নিয়মে তারা বুধবার রাতে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর জেটিঘাট এলাকায় অবস্থান করবেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের ভাসানচর পৌঁছার কথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এগারো দফায় ১৬৫৪ জন এবং ৩০ জানুয়ারি দশম দফায় ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে যান।
এদিকে গত ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।