ভ্রমণপ্রেমীদের কোলাহল শিবপুর-লাখপুর শীতলক্ষ্যা বেড়িবাধে
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ৭, ২০২০ , ২:০৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ
শিবপুর থেকে ঘুরে এসে, সানি আজাদ : নরসিংদী শিবপুর উপজেলার লাখপুর শীতলক্ষ্যা বেড়িবাধে ভ্রমণপ্রেমীদের কোলাহলে মুখর হয়ে উঠেছে। উন্মুক্ত এই স্থানে অন্যরকম প্রশান্তি পাচ্ছেন তারা। করোনাভাইরাসের কারণে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় ঈদের ছুটিতে এখানে ভিড় বেড়েছে। নরসিংদীর শিবপুর, মনোহরদী এবং গাজীপুর জেলার-কাপাশিয়া উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ। দুই উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত শীতলক্ষ্যায় রয়েছে প্রায় আড়াই কিলোমিটার ধাধার চর। যেখানে প্রতি ঈদের সময়ই বিনোদনের প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠে। অনেক নাটক-সিনেমার শুটিংও হয়েছে এ নদীর এবং এই ধাধার চরে।
এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে শিবপুর উপজেলার লাখপুর বেড়িবাধ। এখন বর্ষা মৌসুম। জলে টইটম্বুর। নির্মল হাওয়ার মাঝে পানির ছলাৎ ছলাৎ ঢেউ এসে পাকা রাস্তায় আছড়ে পড়ে। সূর্যাস্তের সময় পশ্চিমাকাশের লাল আভা পানিতে পড়ার দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। অন্ধকারে সেগুলো দেখলে মনে হবে যেন জোঁনাকিরা খেলছে! ঈদের ছুটি কিংবা নতুন এই বেড়িবাধে শ্যালোমেশিন চালিত নৌকায় চড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন অনেকে। দর্শনার্থীদের আনাগোনার ফলে পাশে বসেছে ছোট ছোট অনেক খাবারের দোকান। পার্শবর্তী হাতিরদিয়া থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন সুরুজ মিয়া। এবারই প্রথম পরিবার নিয়ে নৌকায় ভ্রমণ করলেন তিনি। তার কথায়, ছোট বাচ্চারা খুব আনন্দ করলো। সময় পেলেই এখানে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসবো।
আরেকজন দর্শনার্থী বলেন, চাকরির জন্য ঢাকাতেই বেশিরভাগ সময় কাটাতে হয়। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসছি। এখানে নির্মল বাতাস পেয়ে প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। অনেক ভালো লেগেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন হলে এই বেড়িবাধটির মাধ্যমে পর্যটনের বিকাশ হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে এলাকার কিছু সচেতন নাগরিকদের দাবি; যদি এলাকার সবাই আরো সচেতন হয়ে এখানে আসা দর্শনার্থীদেরকে সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তাহলে এই বেড়িবাধ নরসিংদীর মুখ আরো উজ্জল করবে।