মশার কামড়ে ঘুমাতে না পেরে অশান্তিতে পরীমনি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৫, ২০২১ , ২:২৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন
দিনের শেষে ডেস্ক : মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আলোচিত নায়িকা পরীমনি কারা কর্মকর্তাকে বলেছেন, মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি। কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে আরো ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয়েছে। পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমনির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তার শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেছেন।
প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমনির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কারা কর্মকর্তারা রেজিস্টারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান। এ সময় এক কারা কর্মকর্তা পরীর কাছে জানতে চান, কেমন আছেন আপনি? এর জবাবে পরীমনি জানান, মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি। পরে কারা কর্মকর্তারা নায়িকাকে বলেন, কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দি হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না। যদিও পরীর একাধিক বিয়ের খবর প্রচলিত আছে। তবুও যখন পরীমনিকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড? তখন পরী বলেন, আমি আনম্যারিড।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। মামলার বাদী র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বাদীসহ র্যাব-১-এর সদস্যরা গুলশান-১ গোলচত্বরে অবস্থান করছিলেন। বিকেল ৪টা ৫ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে মজুত করে রেখেছেন। তাঁরা বাসায় অবস্থান করছেন। পরে বাসার পঞ্চম তলায় অভিযান চালানো হয়। পরীমনির বাসা থেকে নারী র্যাব সদস্যের সহায়তায় তাঁকে আটক করা হয়। বাসার একটি কক্ষে কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
মামলায় অভিযোগে আরো বলা হয়, পরীমনির বাসা থেকে একটি সাদা জিপারে রাখা চার গ্রাম আইস বা ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। আরো জব্দ করা হয় এক ব্লট এলএসডি মাদক। পরীমনির বাসা থেকে জব্দ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদকের মোট দাম দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা। মামলায় বলা হয়, পরীমনি এসব মাদকদ্রব্য কবির নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাসায় রাখতেন। মামলায় কবিরের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা উল্লেখ নেই। একই মামলায় র্যাব দাবি করেছে, পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তিনি প্রযোজক নজরুল ইসলাম ওরফে রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।