আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ মানিকগঞ্জে নদী ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

মানিকগঞ্জে নদী ভাঙনে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৪, ২০২০ , ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হছে পদ্মাযমুনার পানি। পদ্মাযমুনার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। পদ্মাযমুনা এবং ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার ৬৮৮টি পরিবারের প্রায় তিন হাজার ৯৬ জন বাসিন্দা।
জেলার দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর এবং সাটুরিয়া উপজেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্তরে প্রবেশ করেছে পদ্মার পানি। ভাঙন এবং বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দৌলতপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা।
রাস্তা ঘাটের পাশাপাশি এরইমধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে অনেকের বাড়িঘর। খাবার পানি শুকনা খাবারের সংকট রয়েছে এসব এলাকায়। দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা, বাঘুটিয়া, চরকাটারি, জিয়নপুর এবং খলসি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকার যমুনা নদী পানিতে টইটুম্বুর দেখা যায়। আরিচা লঞ্চঘাট এলাকাসহ আরিচা বাজারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে যমুনার পানি। উপজেলার দাসকান্দি এর আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে কয়েক পরিবার।
আরিচা গরুহাট এলাকার মুদি দোকানদার রহমান মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে যমুনার পানি উঠে যায় তাদের ঘরে। বাধ্য হয়ে গরুছাগল নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে পানি বাড়তে থাকলে দিন কয়েক বাদে শশুর বাড়িতেও পানি উঠবে বলে জানান তিনি।
দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে আরও কয়েক দিন আগেই। এখন পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন কমেছে। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় শুকনো খাবার বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বার্তা২৪.কমকে বলেন, মানিকগঞ্জে ৬৮৮টি পরিবারের হাজার ৯৬ জন ব্যক্তি ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল ১৩ প্যাকেট শুকনো খাবার রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্যায় কোনো প্রাণহানি নেই বলে জানান তিনি।