মীর কাশেমের রায়ের কপি ট্রাইবুনালে
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ৬:০৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: মীর কাশেমের আপিলের রায়ের কপি ট্রাইবুনালে পৌঁছেছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের সহকারী রেজিস্টার মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে বেলা সোয়া ৩টার দিকে একটি প্রতিনিধি দল রায়ের কপি নিয়ে ট্রাইবুনালে যান।
ট্রাইবুনালের বিচারকদের স্বাক্ষরসহ লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরয়োনা ও রায়ের কপি কারাগারে পাঠানো হবে।
সকালে বিচারপতিদের স্বাক্ষর শেষে ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
গত ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালে মীর কাশেম আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। তবে ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আপিল বিভাগ একটি অভিযোগে এই দণ্ড বহাল রাখেন।
তার বিরুদ্ধে আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে মীর কাসেমের আপিল আংশিক মঞ্জুর করে ৪, ৬ ও ১২ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আর ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আপিল নাকচ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ই বহাল রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে হত্যার দায় থেকে এই জামায়াত নেতা অব্যাহতি পেলেও ১১ নম্বর অভিযোগ সর্বোচ্চ সাজাই বহাল রাখা হয়েছে।
আপিলে দেওয়া সেই রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। রায়টি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই লিখেছেন। পরে এতে স্বাক্ষর করেন অপর চার বিচারপতি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি বজলুর রহমান।
নিয়ম অনুযায়ী এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি এখন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। পরে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে ট্রাইব্যুনাল। সেই মৃত্যু পরোয়ানা মীর কাশেম আলীকে পড়ে শোনাবে কারা কর্তৃপক্ষ। আইন অনুযায়ী এখন ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে মীর কাশেম।
রিভিউতে তার আবেদন খারিজ হলে আর কোনো আইনী প্রতিকার তার থাকবে না। সেক্ষেত্রে দোষ স্বীকার করে নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন তিনি করতে পারবেন। সেই আবেদন গৃহীত না হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবেন।
মীর কাশেম আলী ষষ্ঠ ব্যক্তি যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে চূড়ান্তভাবে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। এর আগে জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও এই ব্যবসায়ীকে। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।