আজকের দিন তারিখ ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ মেলান্দহে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মেলান্দহে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ৭:৪৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


জামালপুর (মেলান্দহ) প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।  চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছানাউল ইসলামের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের ভূমি কার্যালয়ের পাশে মহিরাকুল মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চরবাণী পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলী, আলমগীর হোসেন, মুক্তা বেগম প্রমূখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জমির খারিজ করেন না ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম। কাগজ পত্রে একটু ত্রুটি থাকলে তিনি ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে এই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কোনো কাজ করেন না এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। জমি খারিজ করতে গেলে দরজা বন্ধ করে ঘুষ নেন। ২০০ টাকার খাজনার জন্য তিনি পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল-কে অপসারণ করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলামের ঘুষ‌ বাণিজ্যের অভিযোগ করে আলমগীর হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী বলেন, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল ইসলাম‌ এমন কোন লোক নাই যে তার কাছ থেকে ঘুষ না নিয়েছে। তিনি টাকা ছাড়া কিছুই বুঝে না। আমি ৩ শতাংশ জমি খারিজ করতে গিয়ে ছিলাম আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। ৩ শতাংশ জমির মূল্য কত? আর তিনি আমার কাছে ঘুষ চান ৫০ হাজার টাকা। মানববন্ধনে আরেক ভুক্তভোগী মুক্তা বেগম বলেন,’ ভূমি কর্মকর্তা ছানাউল আমার কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পর আমার সাথে আর কথা বলে না আমি কথা বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। পরে ইউএনও স্যারের কাছ থেকে খারিজার কাগজ নিয়েছি। আসমত আলী নামে একজন বলেন, আমি ৫-৬ দিন থেকে ঘুরতেছি উনার কাছেই যাওয়া যায়না কস্ট করে এর আগে একটা দাখিলি করেছি যেটাতে ১৪৪ টাকার জায়গায় আমার কাছ থেকে নিয়েছে ১৩০০ টাকা। এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা বলেন, বিষয়টি জেনেছি তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।