আজকের দিন তারিখ ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস মেয়াদ বাড়ছে ওয়াটকিসের

মেয়াদ বাড়ছে ওয়াটকিসের


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৮, ২০২০ , ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : কাজ করতেন জাতীয় ফুটবলের ইংলিশ কোচ জেমি ডের সঙ্গে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান পল স্মলি বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবে মেয়াদ শেষে চলে গেলে জেমির স্বদেশি স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসকে চলতি মাস পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়ে এ পদে বসানো হয়েছিল। সর্বশেষ জানা গেছে বর্তমানে ইংল্যান্ডে অবস্থানরত ওয়াটকিসের মেয়াদ আরো তিন মাসের জন্য বাড়ছে। ওয়াটকিসকে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব দেওয়ার সময় বলা হয়েছিল মে মাস পর্যন্তই দায়িত্ব। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ওয়াটকিস আরো দুই-তিন মাস থাকবেন। তার চাকরির মেয়াদ শেষ হবে চলতি মে মাসে।’ সোমবার বাফুফের সভা। সেখানে মূলত প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ নিয়ে আলোচনা হবার কথা থাকলেও ওয়াটকিসের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। জানা গেছে ওয়াটকিসও বাফুফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টরের পদটি ছাড়াও কোচ জেমির তৃতীয় দফায় চুক্তির বিষয়টিও বাফুফের সভায় স্থান পেতে পারে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা গোলকিপার শহিদুর রহমান সান্টূকে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল দলের কোচের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেপ্টেম্বরে জাপানে এএফসি কাপ ফুটবলে দল নিয়ে শান্টূ ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেই দলের মামুনুল ইসলাম থেকে শুরু করে মিঠুন চৌধুরী, আতিকুর রহমান মিশুসহ প্রায় সব ফুটবলার পরবর্তিতে প্রিমিয়ারে খেলেছেন। জাতীয় দলেও খেলেছেন। পরবর্তিতে বাফুফের টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পদে প্রথম কাজ করেছিলেন শান্টূ। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের বন্ধু শান্টূ। তিন বছর বাংলাদেশের ফুটবলে থাকলেও তাকে এক রকম সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল বাফুফের একাধিক ব্যক্তির কাছে। শান্টূ সেদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে জানিয়েছেন তিনি বাফুফেতে কাজ করার সময় ৬৪ জেলা থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার পরিকল্পনা করেও সন্তুষজনক সাড়া পাননি। শান্টূ চলে গেলে বায়েজিদ জোবায়ের নিপুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর আসেন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক পল স্মলি। তিনি ছিলেন দুই বছর। দেশের কোচিং কোর্সও করিয়েছেন পল। পলের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশের কোচরা। তবে মাঠে তাকে দেখা যেত নারী ফুটবল নিয়ে কাজ করতে। পল চলে গেলে ওয়াটকিস হন টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর। নতুন কোনো দক্ষ ব্যক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ওয়াটকিস দায়িত্ব পালন করবেন সেটা নিশ্চিত। কারণ এই পদের জন্য বেতন দিচ্ছে ফিফা। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর না থাকলে ফিফার বাসরিক অনুদান চালু রাখতে তিন হাজার ডলার বেতনে টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর থাকাও জরুরি।