বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, লঞ্চ ছাড়ার সরকারি প্রজ্ঞাপনটি বিভ্রান্তিমূলক হয়েছে। যাঁরা এ প্রজ্ঞাপন দিয়েছেন, তাঁদের লঞ্চ চলাচল নিয়ে ধারণা থাকলে এ বিভ্রান্তি হতো না। হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে কোনো যাত্রী ছিল না। সকালে ছেড়ে এলে দুপুর ১২টার মধ্যে কোনো লঞ্চের পক্ষে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
সকাল ১০টার দিকে চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে আসে এমভি ঈগল-৭ ও সোনার তরী-৩। এই লঞ্চ দুটির নিচতলা যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। ঢাকা থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, যতজনের কথা বলা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কাউকে শ্রমিক পাওয়া যায়নি। লঞ্চটির নিচতলা যাত্রীতে পরিপূর্ণ ছিল। ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হলেও যাত্রীদের মধ্যে কোনো ধরনের সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা যায়নি। লঞ্চের ম্যানেজার ফারুকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘১ হাজার ২০০ যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে। চার শতাধিক যাত্রী এসেছে। আমাদের খরচ উঠবে না। খালি যেতে হবে।’