আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভোট দেয়ার ব্যাখা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভোট দেয়ার ব্যাখা দিলেন প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩০, ২০২২ , ৫:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পক্ষে বিপক্ষে ভোট দেওয়া না দেওয়ার ব্যাখা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘে যখন প্রথম প্রস্তাবটা আসল, তখন দেখলাম সেই প্রস্তাবে কোনো মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই। সেখানে এরকম কোনো বিষয়ই নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হল রাশিয়া- তখন আমি বললাম যে না এখানে তো আমি ভোট দেব না। কারণ রাশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ।

তিনি আরও বলেন, এরপর দ্বিতীয় প্রস্তাব যখন আসল তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে সেখানে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল, তাই আমরা ভোট দিয়েছি। বুধবার (৩০ মার্চ) একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন সংসদ নেতা। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা যখন পাকিস্তানের পক্ষে নিয়েছিল রাশিয়া তখন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। যারা আমাদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ‌ আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকবো। কিন্তু তারা যদি কোন অন্যায় করে সেটা আমরা মানব না। কারণ আমরা যুদ্ধ চাইনা, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু যুদ্ধটা বাঁধাল কারা? উস্কানিটা কারা দিল? সেটাও খুঁজে দেখতে হবে। সেজন্য আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম যদি একটা দেশের বিরুদ্ধে তাই ভোট দেব না। দ্বিতীয় প্রস্তাবটা যখন আসল তখন দেখলাম ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে সেখানে মানুষের কষ্ট হচ্ছে ছোট বাচ্চা থেকে সবাই কষ্ট পাচ্ছে। সেখানে মানবাধিকারের বিষয়টা ছিল। যেহেতু মানবাধিকারের বিষয়টা সেজন্য বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। এখানে একেবারে স্পষ্ট এটা নিয়ে আর কারো কোন প্রশ্ন থাকা উচিত না, দ্বিধা থাকা উচিত নয়।

এ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছে, তাদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তবে আমাদের যে একটা প্যাঁচানো গোষ্ঠী আছে- ওদের যতই বলেন, তাদের কিছুই ভালো লাগবে না। কারণ বাংলাদেশে দারিদ্র্য না দেখালে এনজিওর টাকা পায় না, বাংলাদেশে গোলমাল না দেখালে তাদের কনসালটেন্সি আসে না। তাদের নিজেদের কী পাবে, কীভাবে পাবে, সেটাই বড় কথা। বাংলাদেশ এতো দূর এগিয়ে যাবে, সেটা তারা কখনো ভাবতেই পারেনি।