Warning: file_put_contents(/data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/data/districts.json): failed to open stream: Permission denied in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/plugins/covid-19-bangladesh-live/covid-19-bd-live.php on line 103
রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল : নিহত ১০ - Diner Sheshey রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল : নিহত ১০ - Diner Sheshey
Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 124
আজকের দিন তারিখ ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল : নিহত ১০

রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল : নিহত ১০


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৭, ২০২৪ , ৩:৩১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : পূর্ণ শক্তি নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রিমালের প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকানপাট লন্ডভন্ড হয়েছে, ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। প্রাণহানির সংখ্যা এখনো না জানা গেলেও গত রাত ৯টা পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। জানা গেছে, মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে রিমাল। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে। রেমালের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য থেকে জানা যায়, এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আশঙ্কার তুলনায় আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে। এতে শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। রিমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় চার ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে মোংলার শ্যালা নদী ও পশুর নদীর পানি বিপদসীমার উপরে। রাস্তা ভেদ করে জয়মুনি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। চট্টগ্রামে রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ১৬ জেলার উপকূল ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারেও বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এসময় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে বাগেরহাটের মোংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (২৬ মে) রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস গতকাল অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা জানান, ঝড়ে এখানখার প্রায় ৮ হাজার কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা বিধ্বস্তসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে গেছে। ১০-১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২ হাজার চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস। এদিকে ঝড়ের কারণে রোববার সকাল থেকেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো এলাকা। এখনো বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত ও নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েকজন। রাইজিংবিডির প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর- বরিশালে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়বৃষ্টিতে একটি ভবনের দেয়াল ধসে খাবারের হোটেলে পড়েছে। এতে ওই হোটেলের মালিক ও তার কর্মীর প্রাণ গেছে। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, নগরীর রুপাতলী এলাকায় লিলি পেট্রোল পাম্পের পাশে সোমবার ভোরে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও একজন আহত হয়েছেন। পটুয়াখালী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে ফুপু ও বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফ নামের এক যুবক মারা গেছেন। রোববার কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীফের ফুপু মাতোয়ারা বেগম কাউয়ার চর এলাকায় বসবাস করেন। ওই বাড়িতে তার বোন বেড়াতে গিয়েছিল। রোববার বোন এবং ফুফুকে রেমাল থেকে রক্ষায় অনন্তপাড়া থেকে কাউয়ারচর যান শরীফ। সে সময় রেমালের প্রভাবে কাউয়ারচর এলাকা প্লাবিত ছিল। সাঁতার কেটে যাওয়ার সময় সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে শরীফ হারিয়ে যান। পরে খোঁজাখুঁজির পর তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। চট্টগ্রাম ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিপদসংকেত দেওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের বৃদ্ধ শওকাত মোড়ল। রোববার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জি এম মাসুদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভোলা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে গাছ পড়ে ভোলার লালমোহনে মারজান নামে এক নারী ও দৌলতখান উপজেলায় মাইশা নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রাথমিক ধাক্কায় দুইজনের মৃত্যুর খবর এসেছে; বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন দুর্গত জেলাগুলোর প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক। স্বাভাবিকের চেয়ে সাত-আট ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে সাতক্ষীরা, বরগুনাসহ কয়েক জেলায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শত শত গ্রাম। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান অবশ্য রোববার রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ খবর দেন। তিনি বলেছেন, ঝড়ের মধ্যে মানুষ ‘অনেক বিপদের মধ্যে’ রয়েছে। অন্যদিকে, জানা গেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পর প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। লাখ লাখ মানুষ বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বসতবিটা, ফসলের খেত, মাছের ঘের, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলের বাসিন্দাদের। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। গাছ পড়ে, লাইন ছিঁড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় পূর্ব সতর্কতা হিসেবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও ঝালকাঠি। পটুয়াখালীতে ৬ লাখ, বাগেরহাটে সাড়ে ৪ লাখ ও ভোলায় সোয়া ৪ লাখ, পিরোজপুরে ৩ লাখ, বরিশালে ১ লাখ ৮০ হাজার, সাতক্ষীরায় ১ লাখ ৭০ হাজার এবং ঝালকাঠিতে ১ লাখ ৩৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাতে আরও ৮-১০ লাখ গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, জেলায় ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছেন। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরায় চালু করা হবে। এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মোবাইল কোম্পানিগুলো বিকল্প উপায়ে নেটওয়ার্ক চালু রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে যথাসময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি প্রয়োজনে বাতিল এবং অতিরিক্ত জনবল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে ১৬৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গভীর সমুদ্রে তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিপিসি সূত্রে জানা গেছে। নিরাপত্তার কারণে জ্বালানি তেলবাহী দুটি জাহাজকে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌরুটে তেল পরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে রেমালের কারণে এলএনজি সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা।


Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 130