আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি রিহার্সেল ইউপিতে : আব্বাস

রিহার্সেল ইউপিতে : আব্বাস


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৫, ২০১৬ , ২:৩২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


Mirzaঅনলাইন প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’র প্রস্তুতি হিসেবে ক্ষমতাসীনরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘অনিয়মের রিহার্সেল’ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথ সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাগীতে এমপি নির্বাচন অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে কিভাবে ভোট ডাকাতি হবে তার রিহার্সেল হয়ে গেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। নির্বাচনে প্রায় ১৩২ জন লোক মারা গেলো। এরপরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, নির্বাচন ভালো হয়েছে। এই যদি ভালো নির্বাচন হয়, তাহলে আর কতো লোক মারা গেলে নির্বাচন খারাপ হবে?

আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, বাজেট উচ্চবিলাসী। রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তাতে জনগণকে চেপে ধরা হবে।’

ঢাকা মহানগর বিএনপির ইফতার পার্টির আয়োজনের জন্য সংসদ ভবন এলাকায় অনুমতি না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘মহানগর বিএনপির ইফতার পার্টিতে ১০ থেকে ১৫ হাজার লোকের সমাগম হয়। এর আগে সংসদ ভবন এলাকায় ইফতার পার্টির আয়োজন করে আসলেও বিগত তিন বছর সেখানে অনুমতি দেওয়া হয় না। অধিকার থাকা সত্ত্বেও অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমনও হতে পারে, সরকার বলতে পারে ঘরের মধ্যে একসঙ্গে চারজন ইফতার করতে পারবে না।’

দেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্যে আছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধু রাজনীতিবিদরাই নয়, সাধারন মানুষও আতঙ্কে আছে। সর্বত্র সন্ত্রাস, খুন-গুম-রাহাজানি চলছে। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই।’

রমজানে মানবাধিকার ও মানবিক বিষয় বিবেচনা করে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের পৃষ্টপোষকতা না থাকলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারতো না।

যৌথ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মহানগর বিএনপি নেতা, ইউনুস মৃধা, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, মুন্সী বজলুল বাছেদ আঞ্জু, রবিউল ইসলাম রবি, সাজ্জাদ জহির, লতিফ উল্লাহ জাফরু, আরিফুর রহামনা নাদিম, ফরিদ উদ্দিন, মীর হোসেন, হারুনুর আর রশিদ, সামসুল হুদা, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।