রোগী বাড়ায় সংকটে আইসিইউ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১, ২০২১ , ১২:৩০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের এ উর্ধগতিতে সবচেয়ে বড় সংকটের নাম এখন আইসিইউ। এদিকে বাংলাদেশের ৩১টি জেলা করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারাদেশে দ্বিতীয় দফায় ছড়িয়ে পড়ছে করোনা। যার ফলে আইসিইউ সংকটে পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। ১০ মাস আগে প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এত দিনেও জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট তৈরি না হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
অনেক ক্ষেত্রে করোনার জটিল রোগীদের আইসিইউর চেয়েও উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন বেশি হয়। এ জন্য জেলা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক অক্সিজেন সরবরাহের যন্ত্র হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা থাকা প্রয়োজন। সংক্রমণ ঝুঁকির ৩১ জেলার মধ্যে অন্তত ৪টি জেলায় কোনো হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নেই। অধিকাংশ জেলায় ১ থেকে ৫টি করে নাজাল ক্যানুলা রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ১৫ জেলায় আইসিইউ নেই। আর সারাদেশে হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা রয়েছে ৭১৫টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকায় করোনার জন্য নির্ধারিত সরকারি ব্যবস্থাপনার ১০টি হাসপাতালের ১০৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে বুধবার ১০৫টিতে রোগী ভর্তি ছিলেন। বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল কোনো আইসিইউ ফাঁকা ছিল না। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১টি এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল এবং মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ২টি আইসিইউ ফাঁকা ছিল।
ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো-মৌলভীবাজার, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নরসিংদী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ি, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, রাজশাহী, বগুড়া, নড়াইল, নীলফামারী, গাজীপুর, ফরিদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, মাদারীপুর, নওগাঁ, রংপুর, কিশোরগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল ও কক্সবাজার।
এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো ৫২ জন। যা গত সাত মাসের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ২৬ আগস্ট ৫৪ জন মারা যায়। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়াল ৯ হাজার ৪৬ জনে। এছাড়া দেশের ইতিহাসে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩৫৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর রোবেদ আমিন বলেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলা পর্যায়ে আইসিইউ ইউনিট করার মতো যন্ত্রপাতি, শয্যার ব্যবস্থা করা সম্ভব। কিন্তু আইসিইউ পরিচালনা করতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স প্রয়োজন।