‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভাবমূর্তি নষ্টের আশঙ্কা কমে গেছে’
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ৮:৩৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: সৌদি আরবে রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে যেসব রোহিঙ্গা সৌদি আরব গমন করেছিল, তাদের অধিকাংশই বার্মিজ নাগরিক হিসেবে সৌদি সরকারের দলিলভুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশংকা অনেক কমে গেছে।
সোমবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত ঢাকা-২০ আসনের এম এ মালেকের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বহুকাল পূর্ব হতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে ওই দেশের পাসপোর্ট নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে প্রবেশ করেছে। অতীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে যেসব রোহিঙ্গা সৌদি আরব গমন করেছিল, তাদের অধিকাংশই বর্তমানে বার্মিজ নাগরিক হিসেবে সৌদি সরকারের দলিলভুক্ত হয়েছে।
সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ৩-৫ মে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফর ছিল বিগত ১০ বছরের মধ্যে জিসিসিভুক্ত কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে প্রথম ভিভিআইপি সফর, যা কুয়েতের এতদাঅঞ্চলের দেশসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং এদেশের পররাষ্ট্র নীতির একটি বিশেষ অর্জন।
তিনি জানান, কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এরমধ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পারস্পরিক সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, সামরিক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি এবং পায়রা (লেবুখালী) সেতু প্রকল্পে কুয়েত ফান্ড কর্তৃক দ্বিতীয় দফা ঋণ প্রদান সংক্রান্ত চুক্তি। এ ছাড়া এফবিসিসিআই ও কেসিসিআই (কুয়েত চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ) এর মধ্যে সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি প্রোটকল স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে কুয়েতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। সামরিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হলে এখাতে বিদ্যমান সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে। কুয়েত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে কঠোর ভিসা নীতি অনুসরণ করে আসছিল। কিন্তু এই সফরকালে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা কুয়েতে আগমনী (অন এ্যারাইভাল) ভিসা সুবিধা পাবেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে মিয়ানমার ও ভারতের কারাগারে আটকাধীন ও বিচারাধীন ৩ হাজার ৯২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে। এরমধ্যে ভারতে ৩ হাজার ৮৬৮ জন এবং মিয়ানমারে ৫৮ জন। আটকৃতদের দেশে ফিরিয়ে আনা চলমান প্রক্রিয়া। আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে অবহিত হলে বাংলাদেশ মিশনসমূহ তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।