আজকের দিন তারিখ ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ র্কীতনখোলা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা : হুমকির মুখে শহর রক্ষা বাঁধ

র্কীতনখোলা নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা : হুমকির মুখে শহর রক্ষা বাঁধ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বরিশাল প্রতিনিধি : বরিশালের সৌন্দর্যের প্রধান আকর্ষণ কীর্তনখোলা নদী ও নদী তীরবর্তী পাঁচ কিলোমিটার এলাকা। অথচ প্রভাবশালী মহলের কারণে নদীর তীরের পুরোটাই ক্রমশ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ বিভিন্ন স্থাপনা, দোকান- পাটসহ মাদকের অভয়ারণ্য এখন কীর্তনখোলা নদীর লঞ্চঘাট থেকে দক্ষিণে কেডিসি হয়ে ত্রিশ গোডাউন পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের বেশি এলাকা। এখানে প্রায় ৮/১০ হাজার বস্তিঘরে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতার রাজত্ব বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে অভিযোগের আঙ্গুল নৌ পুলিশ ও মেরিন বিভাগের কর্মকর্তাদের দিকেও। তাদের আশ্রয়ে এখানে অবৈধ ঘরবাড়ি দোকানপাট গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

সরেজমিনে গিয়ে নগরীর ডিসিঘাট থেকে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক হয়ে কেডিসি বের হতে গিয়েই ভ্রমণে আসা মানুষের অভিযোগ  শহর রক্ষা বাঁধের উপর অনেকগুলো ছাগলের খোঁয়াড় নিয়ে। এখানে বাঁধে ভাঙন ধরেছে। একটু এগিয়ে চোখে পড়ে নদীরক্ষা বাঁধের পায়ে চলা পথে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও হাস মুরগী-ছাগলের ঘর। নদীর ভিতর খুঁটি গেড়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকান, রান্নাঘর, এমনকি গোয়ালঘরসহ আরো অনেক কিছু। শুধু তাই নয় নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, মেরিন বিভাগের কয়েকটি জেটি ছাড়াও রিভার ফায়ার স্টেশনও তৈরি হয়েছে নদী দখল করেই। আর এ সুযোগ নিয়েই জেটির পিলার বরাবর নদী দখল করে নিচ্ছে একটি মহল। আর এসব কারণে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বাঁধের কয়েকটি স্থানে। প্রশাসনের নৌবহর বা জেটি বিষয়টি জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এটিকে এড়িয়ে গিয়ে দোকানপাট ও পায়ে চলা পথ আটকে দেয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তেড়ে এসে বলেন, যা বলার স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলুন। এ পাশটা ১০ নং ওয়ার্ড আর মুক্তিযোদ্ধা পার্কের উত্তর পাশটা আওয়ামী লীগ নেতার নিয়ন্ত্রণে। সব মিলিয়ে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এই এলাকায় উত্তরাংশে দোকানপাটসহ প্রায় তিন হাজার ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ করছে আ’লীগ নেতা। ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল্লাহ কবির বলেন, অবৈধ ঘরবাড়ি দোকানপাট দেখে আমিও বিরক্ত। জনপ্রতিনিধি হবার কারণে আমিতো উচ্ছেদ করতে পারি না। তাই নিজেই কয়েকবার বিআইডব্লিটিএর কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করেছি। অন্যদিকে আ’লীগ নেতাকে পাওয়া না গেলেও স্পীডবোট ঘাটে তার অনুসারীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, নদী তীরবর্তী এই এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিআইডবিøউটিএর। নৌ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, মেরিন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে র‌্যাব ও পুলিশের হাতে এখানে মাদকসহ বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়লেও নৌ পুলিশের ভূমিকা নিরব। বিআইডব্লিটিএর উচ্ছেদ অভিযান সবসময় লঞ্চঘাট থেকে এই স্পীডবোট বা ডিসিঘাট পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এদিকে সিটি করপোরেশন ও বিআইডব্লিটিএর আওতায় বলে এবিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে বিআইডব্লিটিএর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি আসার পর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বয় করে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান খুব শীঘ্রই পুনরায় শুরু হবে। তার আগে সবাইকে নোটিশ দেয়ার কাজ চলছে।