লকডাউনেও থেমে থেমে যানজট
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৯, ২০২১ , ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : কঠোরতম লকডাউনের সপ্তমদিনে রাজধানীতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। দেখা দিয়েছে যানজট। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালী, পান্থপথ ও কলেজ গেইটসহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট চোখে পড়ে। বেড়েছে মানুষের চলাচল। এদিকে সড়কে ঢাকামুখী মানুষের চাপ আজ আরও বেড়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথেই যানবাহন এবং মানুষের চাপ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি চাপ রয়েছে পুরান ঢাকা বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায়। বুধবার রাত নয়টার দিকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বিপুল বিশ্বাস (৩০) নামে এক বাইসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কঠোর বিধিনিষেধ চলমান থাকলেও সড়কে অবাধ এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চলাচলের কারণে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে এধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। দিনের বেলায় সড়কে পুলিশের উপস্থিতি বেশি থাকলেও রাতের ঢাকায় তা অনুপস্থিত। রাতের শিথিলতার সুযোগে রাজধানীর বাইরে থেকে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, এমনকি সুযোগ বুঝে যাত্রীবাহী বাসও ঢাকায় প্রবেশ করছে। এসব যানবাহন চালকদের বেপরোয়া আচরণে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
এছাড়াও রাতে রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার মোড়, পান্থপথ ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে চলমান বিধিনিষেধ একেবারেই শিথিল অবস্থায় দেখা গেছে। কোথাও কোন চেকপোস্ট ছিল না। রাত দশটার দিকে পান্থপথে চেকপোস্টের জন্য রাস্তা জুড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হলেও সেখানে পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এই অবস্থা ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক এবং সিটি কলেজের সামনেও দেখা গেছে। বিজয় সরণি এলাকায় পুলিশ অবস্থান নিলেও তারা বিধিনিষেধ কার্যকরে মনোযোগী ছিলেন না। এভাবেই রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের নজরদারি একেবারেই কমে যায়। এই সুযোগে রাতের সড়ক ও মহাসড়ক আরও সরগরম হয়ে ওঠে। রাত ৯ টার পর থেকে অবাধে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়। ঢাকার বাইরে থেকে একের পর এক সিএনজি গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, বাবুবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা দিয়ে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন রাতের আধারে মহাসড়ক নির্বিঘ্নে পাড়ি দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। চালকরা ভোর হওয়ার আগেই যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকার বাইরে ফিরে যাচ্ছে। এখনো রাজধানীর ছেড়ে যাওয়া অনেক মানুষ এ ধরনের যানবাহনে রাতে ঢাকা ছাড়ার সুযোগ নিচ্ছে। রাতের বেলায় এই বিধিনিষেধ শিথিলের সুযোগে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মিনিট্রাকে লোকজন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করেই ঢাকায় ফিরছে এবং ঢাকা ছেড়েও যাচ্ছে।
ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা দিনের বেলায় বারবার পুলিশের বাধার মুখে পড়লেও রাতে তারা একেবারেই বাঁধনহীন। তাই গভীর রাতেও অসংখ্য বাইকচালককে নির্বিঘ্নে রাজধানীর সড়কে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। এদিকে আজ সপ্তাহের শেষ দিনেও সকাল থেকে রাজধানীতে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল আরও বেড়েছে। সকালে গাবতলী এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এই চেকপোস্টে পণ্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বেশি রয়েছে। যানবাহনের পাশাপাশি পায়ে হেঁটেও অগণিত মানুষ আমিনবাজার ব্রিজ পার হয়ে ঢাকায় ঢুকছে।
অফিস খোলা থাকায় রাজধানীর সব সড়কে বিগত দিনগুলোর মতোই অফিসগামী মানুষের ব্যস্ততা দেখা গেছে। অফিস ছাড়াও বিভিন্ন জরুরি কাজে ও অসংখ্য মানুষ তাদের জরুরি প্রয়োজনে আজ রাস্তায় নেমেছে। সড়কগুলোতে পুলিশ চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করলেও যানবাহনের চাপের কারণে সব যানবাহন থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানা সম্ভব হচ্ছে না। রাজধানীর সব সড়কেই রিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে।