আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
বিনোদন লকডাউনের পর সিনেমা দেখার টাকা থাকবে?

লকডাউনের পর সিনেমা দেখার টাকা থাকবে?


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২১, ২০২০ , ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: বিনোদন


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা পরিস্থিতিতে পুরো ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। যার কারণে সব তারকাই এখন ঘরবন্দী। এসময়টাতে কি করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও সাংসদ দেব? কখনও শুটিং, কখনও ছবি নিয়ে মিটিং, তো কখনও ঘাটালে ছুটে যাওয়া… এ রকম অসংখ্য কাজ ছিল তাঁর প্রতিদিনের রুটিন বাঁধা। কাজের বাইরে বিশেষ কিছুর ফুরসত নেই। টাইট শিডিউল তাঁকে সে বিলাসিতার অবকাশও কি দেয়? কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্কটে অবসরটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বাধ্যতামূলক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য রকম একটা ভূমিকা রাখছেন এ নায়ক। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেব বললেন, ‘‘রোজ পেপারে, টিভিতে দেখছি অসংখ্য শ্রমিক পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে চেষ্টা করছে। কত লোক খেতে পাচ্ছে না। চাকরি হারানোর ভয় আছে, ব্যবসার কী হাল হবে কেউ জানে না… এই পরিস্থিতিতে আমি কী করছি, সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া অবান্তর।’’ সারাদিন কী ভাবে কাটছে দেবের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘দিনগুলো এখন সত্যিই খুব লম্বা। কিছুটা সময় ধরে মিটিং চলে। কনটেন্ট নিয়ে, এর পর কী ভাবে এগোনো যাবে সে সব নিয়ে… সন্ধেবেলা এক্সারসাইজ়, সিনেমা, সিরিজ় দেখা… চলছে, এ সব নিয়েই রয়েছি।’এ বছর আদৌ ‘কিশমিশ’-এর কাজ শুরু করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দেবের মনে সংশয়। জানালেন, ‘টনিক’, ‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ আর ‘গোলন্দাজ’-ই হয়তো মুক্তি পাবে। তবে লকডাউন উঠলেও মানুষের হাতে সিনেমা দেখার মতো টাকা থাকবে কি না, ভাবছেন তা নিয়েও। শুধু কাজ নয়, চিন্তা রয়েছে পারিবারিক ক্ষেত্রেও। বাবা ও বোন দেবের সঙ্গে থাকলেও মা আটকে পড়েছেন মুম্বাইয়ে, যেখানে আগে তাঁরা থাকতেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি সম্পূর্ণ একা থাকলেও ওই কলোনির সঙ্গে তাঁদের বহু বছরের পরিচয়, এটুকুই ভরসা। তিনি আরও বলেন, ‘‘মায়ের কলকাতায় ফেরার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু আচমকা লকডাউন হয়ে যাওয়ায়, ফেরা সম্ভব হয়নি। মাকে নিয়ে চিন্তা তো আছেই। তবে ওখানে মায়ের অনেক পরিচিত রয়েছেন। নীচে আনাজ বিক্রি করতে আসে। তাই সে ভাবে অসুবিধে হচ্ছে না। এমনকি লকডাউন উঠে গেলেও মা আসবে না বলছে, কারণ প্লেনে বা ট্রেনে এই অবস্থায় ট্রাভেল করবে না,’’ বললেন সাংসদ। শুধু মা নয়, দেবের ভাবনা বাবাকে নিয়েও। তাঁদের রেস্তোরাঁটি দেখেন তাঁর বাবা। সামগ্রিক অর্থনীতি যেখানে ধ্বসে পড়ছে, সেখানে পরবর্তী সময়ে রেস্তোরাঁর কী হবে, কবে পরিস্থিতি বদলাবে, তা নিয়ে চিন্তিত তারকার বাবা। বৃদ্ধ বয়সে তাঁর ভরসা ছেলেই। তবে পরিস্থিতি কঠিন হলেও হাল ছাড়তে চান না তিনি। আশা রাখেন। ‘‘এই সময়টা ঠিক কেটে যাবে। হয়তো অনেক কিছুর সঙ্গে সমঝোতা করতে হবে। কিন্তু নতুন দিন আসবেই। আমি আশাবাদী,’’ যোগ করেন দেব।