লকডাউন এলাকায় করোনা শনাক্তের নামে ডাকাতি!
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৯, ২০২০ , ৪:৪০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা ভাইরাসের হানায় সুনসান নীরবতা দেশজুড়ে। কোটি মানুষ এখন গৃহবন্দী। রাস্তাঘাটে নেই আগের মতো ব্যস্ততা। বদলে গেছে সবকিছুই। এই বদলে যাওয়ার সুযোগে মাঠে নেমেছে দুস্কৃতিকারীরা। তারা লকডাউন এলাকাগুলোতে গিয়ে করোনা রোগী শনাক্তের নামে ডাকাতি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া রাতের ফাঁকা রাস্তায় তল্লাশির নামে চলছে ছিনতাই। তবে এভাবে কেউ করোনা রোগী শনাক্ত করতে চাইলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করতে বলেছে পুলিশ। রাজধানীর একাধিক এলাকায় করোনা রোগী শনাক্তের নামে আবাসিক এলাকার বাসাবাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডাকাত দল পিপিই পরে বাসায় গিয়ে বলে আমরা হাসপাতাল থেকে এসেছি। এই বাসায় করোনা রোগী আছে বলে আমাদের তথ্য রয়েছে। এ অবস্থায় অনেকটা বাধ্য হয়েই বাসার দরজা খুলে দিতে হচ্ছে। এরপরে বাসায় ঢোকামাত্রই শুরু করে ডাকাতি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, এই পরিস্থিতিতে কখনোই পড়েনি দেশের মানুষ। এই সংকটে সবাই যখন মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তখন অসাধুচক্র মানুষকে জিম্মি করে ডাকাতি করছে। এ ধরনের ঘটনা থেকে সাবধানেও থাকতে বলছেন কেউ কেউ। ঢাকার সাভারে এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসায় গভীর রাতে একদল লোক আসে পিপিই পরে। তারা বলে, আমরা করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে এসেছি। এরপরেই রীতিমতো জোর করে বাসায় ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে। এরপর বাসার সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। যত দামি জিনিস ছিল তার সবকিছুই নিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি আমাদের জন্য ছিল ভীতিকর। তবে সাভার থানার ওসি (তদন্ত) শাইফুল ইসলাম দাবি করেন, সাভার থানা এলাকায় এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এদিকে রাতের ফাঁকা রাজধানীতে জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। প্রথমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে কাছে ডাকার পরে ধমক দিয়ে পকেট হাতিয়ে মোবাইল ও টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। এই কাজটি করার জন্য ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে। ডিএমপির (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আবু আশরাফ সিদ্দিকী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তার পরেও আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করব। কেউ যদি এ ধরনের পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকতে চায় তাহলে অবশ্যই যেন পুলিশকে জানানো হয়। অথবা ৯৯৯ ফোন করে সাহায্য চাইতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিয়টি ছড়িয়ে পড়ার বিয়য়ে আবু আশরাফ বলেন, বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন লিখেছেন। তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তারা বলেছেন, আমরাও আরেকজনের কাছে শুনেছি।