লঞ্চ যাত্রায় মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি : সাবধানতার অভাব
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০২০ , ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
বরিশাল প্রতিনিধি : কে শুনে কার কথা। করোনার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন সাধারণ যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চের যাত্রীদের যাত্রা করার কথা থাকলেও বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। ঈদে রাজধানীতে ফেরার মতো রবিবার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট পৌঁছে তৃতীয় শ্রেণির ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়। রবিবার দুপুর থেকে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে প্রচুর যাত্রীর সমাগম হয়। এসময় প্রতিটি লঞ্চেই ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দ্বিগুণ যাত্রী ওঠানো হয়। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বার বার মাইকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে অনুরোধ জানালেও তাতে কান দেননি যাত্রীরা। এক পর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় লঞ্চের ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু ততক্ষণে ডেকগুলোতে যাত্রী বোঝাই হয়ে যায়। পরে রাত ৯টার পরিবর্তে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার সাংবাদিকদের জানান, সাবধানতার চেষ্টা করলেও কেউ কথা শুনছে না। বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, নদী বন্দরে নোঙর করা তিনটি লঞ্চের ডেক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল নদী বন্দর থেকে রবিবার সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও অ্যাডভেঞ্জার ৯ রাজধানীর উদ্দেশ্য রাত সাড়ে ৮টায় যাত্রা করে। লঞ্চগুলোর মধ্যে শুধু সুন্দরবন ১১ লঞ্চের সামনে জীবানুনাশক টানেলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ২৪ মার্চের পর এই প্রথম বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে লঞ্চগুলো। অপরদিকে রবিবার ভোর ছয়টা থেকে বরিশাল বিভাগের স্থানীয় ও অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল নিয়ে চলাচল শুরু হয়েছে। সকালে অভ্যন্তরীণ রুট জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, মজুচৌধুরীর হাট, হিজলা, মুলাদী ও পার্শ্ববর্তী দ্বীপ জেলা ভোলার উদ্দেশ্য যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে গেছে।