আজকের দিন তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি লন্ডন গেলেন সৈয়দ আশরাফ

লন্ডন গেলেন সৈয়দ আশরাফ


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৫, ২০১৬ , ৪:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


yuuyকাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: এগার দিনের সফরে লন্ডন গেলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
পাঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জাসদের ভূমিকা নিয়ে এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে নানামুখি আলোচনার মধ্যে বুধবার সকালে লন্ডন রওনা হন তিনি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. মমিনুল হক জানান, বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সকাল ১০টায় ঢাকা ছেড়েছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রীর সফরসূচিতে দেখা যায়, আগামী ১৬ জুন লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে দক্ষিণ এশিয়া ডায়াসপোরা সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি সভায় তার যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

আগামী ২৭ জুন সকালে ঢাকা ফিরবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাসদকে দায়ী করে এই দল থেকে মন্ত্রী করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে বলে গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সৈয়দ আশরাফ।

টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আশরাফ বলেন, “বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে।

“মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।”

“তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হত,” বলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর পঁচাত্তরে হত্যাকাণ্ডের শিকার সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের এই বক্তব্যের পর জাসদ নেতারা এর প্রতিক্রিয়া জানালেও দলটির সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নিশ্চুপ ছিলেন। বুধবার সৈয়দ আশরাফ যখন লন্ডনের পথে, সে সময় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে মুখ খোলেন ইনু।

তিনি বলেন, “আমরা মনে করি এই সময়ে ১৪ দলের অভ্যন্তরে কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। এটা ইতিহাস চর্চার সময় নয়। জঙ্গিবাদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার সময়। জাসদ নিয়ে মন্তব্য অনভিপ্রেত, দুঃখজনক ও অপ্রাসঙ্গিক।”