লাদাখে ভারতের মিসাইল সিস্টেম-ট্যাংক-ড্রোন মোতায়েন
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৮, ২০২০ , ৪:২১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব
দিনের শেষে ডেস্ক : লাদাখে ভারত ও চীন সেনাদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। দুই পক্ষই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সীমান্তজুড়ে সেনা সরঞ্জাম মজুত করতে শুরু করেছে। চীনের পাশাপাশি সীমান্তে পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতও। ইতিমধ্যে লাদাখ সীমান্তে অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম, ট্যাংক, কামান মজুত করেছে ভারত।সীমান্তে দুই পক্ষই বিপুল পরিমান সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। একে অপরের ওপর রাখছে কড়া নজর।
জানা গিয়েছে, লাদাখ সীমান্তে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে চীনের শত শত ড্রোন। ভারতীয় সেনা বাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য কৌশলগতভাবে চীনের সেনাবাহিনী ওই সমস্ত ড্রোন ওড়াচ্ছে বলে ভারতের দাবি।
ভারতের আরও দাবি, ওই সমস্ত চীনা ড্রোন অনেক সময় সীমান্ত রেখা পেরিয়ে ভারতের ভুখণ্ডেও ঢুকে পড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার উপর ওই ড্রোনগুলি উড়েছে বলে ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে ড্রোন নজরদারিতে পিছিয়ে নেই ভারতও। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর কড়া নজরদারি শুরু করেছে নয়াদিল্লি। সুত্রের খবর, ইজরায়েলে তৈরি বিশেষ ড্রোন‘হেরন’মোতায়েন করেছে ভারত। লাদাখ সীমান্তে বিপুলসংখ্যাক সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পাঠীয়েছে দুই দেশই।
উল্লেখ্য, গত মাস থেকেই লাদাখ সীমান্তে চীন এআর ৫০০ সি নামে হেলিকপ্টার আকৃতির বিশাল ড্রোন মোতায়েন করে বলে সংবাদ সুত্রে জানা গিয়েছিলো। ওই ড্রোনগুলি ৫ হাজার মিটার উঁচুতে উড়তে পারে। ৫০০ কেজি পর্যন্ত রসদ নিয়ে ১৭০ কিলোমিটার গতিতে টানা পাঁচ ঘন্টা আকাশে থাকতে পারে।
এদিকে চলতি সপ্তাহেই ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কর্পস মোতায়েন করেছে হেরন মিডিয়াম অলটিটিউড লং এনডুরেন্স ড্রোন। সেই ড্রোন থেকে সীমান্তে নজর রাখা হচ্ছে। এই ড্রোন অন্তত ১০ কিলোমিটার উঁচুতে উড়তে পারে। টানা ২৪ ঘন্টা চক্কর কাটতে পারে আকাশে। এছাড়া সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে রয়েছে পোর্টেবল ড্রোন। একাধিক স্পাইলাইট মিনি ড্রোন মজুত রাখা হয়েছে, যা দিয়ে সহজেই পার্বত্য এলাকায় শত্রুদের অবস্থান দেখে নিতে পারবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত এই ড্রোনগুলি তৈরি করে ২০১৮ সালে। যে কোনও আবহাওয়াতেই এই ড্রোন ওড়ানো সম্ভব। ১০ হাজার মিটার থেকে ৩০ হাজার ফুট উঁচু পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই ড্রোন তুলে আনতে পারে রিয়েল টাইম ভিডিও ফুটেজ।
পাশাপাশি, ভারত ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকায় সুখোই জঙ্গি বিমান এবং বোমারু বিমানগুলি মোতায়েন করেছে। সুখোই যোদ্ধারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের রেখার কাছে আকাশে টহল দিচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রাখা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী সমস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত করে রেখেছে। যাতে চীন হামলা চালালে যেন সাথে সাথে তা প্রতিহত করতে পারে ভারত।
তবে সীমান্তে সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা মজুত রেখেই কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনা চালাচ্ছে প্রতিবেশী বৃহৎ দেশ দুটি। যদি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তাহলে এসব সমরাস্ত্রের কোনও প্রয়োজন হবে না বলে মনে হচ্ছে।