আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ লোহাগাড়ায় নড়বড়ে কাঠের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

লোহাগাড়ায় নড়বড়ে কাঠের সাঁকোয় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ , ১:২৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় টংকাবতী খালে একটি ব্রিজের অভাবে প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন নড়বড়ে কাঠের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন গ্রামবাসী। প্রতি বছর বর্ষায় পানিতে ভেঙে যায় উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া এলাকার ওই সেতুটি। নড়বড়ে কাঠের সাঁকো বছরের পর বছর ধরে ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়েই চলছে। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও পরে সেখানে পাকা ব্রিজ করতে এগিয়ে আসেনি কেউ।
মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ঘোনাপাড়া স্থানে টংকাবতী খালের ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। বর্ষায় সাঁকোটি পানিতে ডুবে যায়। কয়েক বছর আগে সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় খালের পানিতে দুই শিশু ভেসে যায়। খালের পশ্চিম পাশের ঘোনাপাড়া, রাহাত আলী চৌধুরীপাড়া, আমির খান চৌধুরীপাড়া, নাজির আলী মুন্সিপাড়া, মুহুরিপাড়া এবং খালের পূর্ব পাশে ব্রাহ্মণপাড়া, তালুকদারপাড়া, জলদাশপাড়া এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া খালের পশ্চিমপাড়ের শিক্ষার্থীদের সাঁকো পার হয়ে উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আমিরাবাদ এমবি উচ্চ বিদ্যালয় এবং বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে যেতে হয়। ফলে যাওয়া-আসার সময় অভিভাবকরা থাকেন উদ্বিগ্ন। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রা প্রতি বছর বাঁশ, কাঠ ও খুঁটি দিয়ে সাঁকোটি মেরামত করে কোনোরকম যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। বছরের পর বছর মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও সুনজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম ইউনুচ জানান, টংকাবতী খালে ওপর ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মাণ হলে ওই এলাকার মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। ব্রিজটি দ্রুত যাতে নির্মাণ করা হয়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনির জানান, ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে সেখানে ৬০ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর হবে।