শামীমের দেখার মতো এক ক্যাচ!
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৩, ২০২১ , ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস
দিনের শেষে ডেস্ক : চাঁদপুরে টিভি টুর্নামেন্ট খেলে পরিচিত পেয়েছিলেন শামীম হোসেন। এরপর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পেরিয়ে শামীম এখন জাতীয় দলে। যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়নি, তবে বৃহস্পতিবার হারারেতে বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। আর নেমেই দেখার মতো এক ক্যাচ নিয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই তরুণ।
জন্টি রোডস তার পছন্দের ফিল্ডার, তার মতোই মাঠে ফিল্ডিংয়ে ভুমিকা রেখে যাচ্ছেন শামীম। চাঁদপুর থেকে উঠে আসা এই তরুণ বৃহস্পতিবার ঝাঁপিয়ে পড়ে দূর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে রায়ান বার্লকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বার্লের লক্ষ্য ছিল বাউন্ডারি। কিন্তু চিতার গতিতে অনেকটা দৌড়ে এসে শূন্যে ভেসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুতে নেন শামীম। লং অনে তার নেওয়া ক্যাচটি জন্টি রোডসের কথাই যেন মনে করিয়ে দিলো!
নিজের ফিল্ডিং নিয় শামীম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ফিল্ডিংয়ের প্রতি আলাদা টান ছিলো। আমি ভালো ফিল্ডিংও করতাম। আসলে ফিল্ডিং উপভোগ না করলে, ভালো ফিল্ডার হওয়া যায় না। আর মন থেকেও চাইতে হবে। অনূর্ধ্ব-১৪ থেকেই ভালো ফিল্ডিং করি। আমি পয়েন্টে ফিল্ডিং করি। জন্টি রোডস আমার প্রিয় ফিল্ডার। তাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলে আসার পর বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট ও সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন শামীম। যেমন আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে তো সেরা ফিল্ডার হয়ে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ব্যাটই উপহার পেয়েছিলেন। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে সর্বশেষ ঢাকা লিগে ব্যাট কিংবা বোলিংয়ে খুব একটা সুযোগ না পেলেও ফিল্ডিংয়ে নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছেন শামীম। পেয়েছেন সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার। এই কারণেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে তার ওপর আস্থা রেখেছেন নির্বাচকরা।
প্রসঙ্গত, ৮-৯ বছর বয়সে স্থানীয় টিভি-টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। ঠিকাদারি পেশায় ব্যস্ত বাবা ছেলের ক্রিকেট-প্রেমের কথা জানতেন। কিন্তু অন্য অনেক বাবার মতো বাগড়া দেননি। শুধু শর্ত ছিল পড়া-লেখাটা ঠিকমতো করতে হবে। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথে বাবার চেয়ে চাচা আনোয়ারের সমর্থনকেই বেশি স্মরণ করেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অলরাউন্ডার। সবসময়ই শামীমের পাশে ছিলেন চাচা। পাশাপাশি চাচাতো ভাইদেরও সহযোগিতা পেয়েছেন। স্থানীয় ক্রিকেটে শামীমের আশাজাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখে তারাই তাকে ভর্তি করে দেন ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখান থেকেই শামীমের ঠিকানা হয় দেশের ক্রিকেটের সূতিকাগার বিকেএসপি।