আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি শাহজালালের ভিসিকে আজই সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান সংসদে

শাহজালালের ভিসিকে আজই সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান সংসদে


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ , ২:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে (ভিসি) আজকের মধ্যে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদে। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ঢাকায় এসে আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানের সমালোচনাও করা হয়েছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অদিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও পীর ফজলুর রহমান এ সমালোচনা করেন। কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, গত কয়েদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভাইস চ্যান্সেলর, হাউস টিউটরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। তারা ১১ দিন ধরে অনশনে আছেন, ১৬ জন ইতিমধ্যে হাসপতালে ভর্তি হয়ে গেছেন। এতে কারো টনক নড়ছে না। শিক্ষামন্ত্রী আছেন, উনি বলেছিলেন যে তোমাদের দাবি দাওয়া রেখে ঢাকায় আসো আমার সঙ্গে আলোচনা করতে। আমরা সবাই ছাত্র আন্দোলন করে এসেছি, আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কখনও কোনো ছাত্ররা কারো সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা আসবে না আমরা জানি। মন্ত্রীর উচিত ছিলো ওখানে ডাবল মাস্ক পরে যাওয়া। মোনায়েম খান বহুবার আমাদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন। আমরা তখন ছাত্র ছিলাম। আমরা বিয়ের দাওয়াত পেতাম না, আমাদের মিলাদের দাওয়াতও দিতো না। কিন্তু বঙ্গবভবনের দাওয়াতও কিন্তু আমরা প্রত্যাখান করেছি। আমরা কখনও কোনো আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাইনি। ছাত্ররা কেন আসবে আপনার কাছে। প্রত্যেকটা ছাত্র আন্দোলন এদেশে হয়েছে যৌক্তিকভাবে। যখনই যারা সরকারের থাকে সে আন্দোলনকে তারা অযৌক্তিক মনে করে। ভিসি কোনো স্থায়ী পদ না যে সে চলে গেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। একটা ভিসিকে সরাতে গিয়ে ছাত্ররা যদি অনশন করে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু নেই। বুঝতে হবে ভিসির ওপরে ছাত্রদের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই। তার জন্য কোনো ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধাবোধ নেই এবং থাকা উচিত না। উনার যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকতো উনি অবশ্যই এখান থেকে সরে আসতেন। উনি জোর করে বসে আছেন পুলিশ ঘেরাও করে। এখানেই শেষ নয়, ছাত্ররা গিয়েছিলেন হাউস টিউটরের সঙ্গে দেখা করতে, পারে নাই। ছাতদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন হাউস টিউটর। সেখান থেকেই ঘটনার উৎপত্তি। তখন ছাত্রছাত্রীরা ভিসির কাছে গিয়েছিলেন, ভিসি তাদের সরিয়ে দিয়েছেন, কথা বলেননি। তার পরেই তারা আন্দোলনে। আন্দোলন করার পরই পুলিশ ডেকে আনলো। এটা কি আইয়ুব, মোনায়েম খানের আমল না কি যে কথায় কথায় পুলিশ আনবেন। লঠিপেটা করলো, কাঁদানে গ্যাস মারলো আমরা দেখলাম। কেন এটার উৎপত্তি হলো, কোনো ছাত্র আন্দোলনকে ছোট করে দেখা উচিত না। আমি মনে অবিলম্বে আর কোনো তদন্ত রিপোর্ট নয়, কারো সঙ্গে আলাপ, আলোচনা নয়, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রী আছেন ভাইস চ্যান্সেলরকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন, ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন। পীর ফজলুর রহমান বলেন, সিলেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চায় না তার পরও তিনি পদ আঁকড়ে বসে আছেন। যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তাহলে সরকারে উচিত আজকের মধ্যে তাকে অব্যাহতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করা।