শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে
পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৩, ২০২২ , ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব লীড
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ষষ্ঠবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। তবে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ এর আগে কখনোই তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি তিনি শান্ত করতে পারবেন কিনা তা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে শপথের পর কলম্বোর ওয়ালুকরমা মন্দিরে আশীর্বাদ নিতে যান রনিল। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটিতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। গত সোমবার সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ এবং দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। জনরোষের মুখে কলম্বোর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সেনা পাহারায় পালিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নৌঘাঁটি ত্রিঙ্কোমালিতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি।
এরপর বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে গুলি চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল সমাজি জনা বালাভেগায়া (এসজেবি) অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে রাজি হলেও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের শর্ত দেয়। এর মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণে চলতি সপ্তাহের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা নিয়োগের ঘোষণা দেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনপির নেতারা জানান, তাদের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। এরমধ্যে প্রধান বিরোধী দল এসজেবির নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাও প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি লেখেন। তবে সেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব এবং তার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করার শর্ত দেন তিনি। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বিরাসিংহে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের কাছে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে তা দিয়ে সপ্তাহখানেকের বেশি আমদানিপ্রক্রিয়া চালানো সম্ভব হবে না। সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ছাড়া সে আলোচনা এগোবে না।