শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থার পর কারফিউ জারি, চলছে সংঘর্ষ
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৩, ২০২২ , ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপে পালিয়ে গিয়েছেন। এর আগেই তার বাড়ি দখল করে নিয়েছিল বিক্ষুব্ধ জনতা। বুধবার কলম্বো শহরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলেছে কয়েক হাজার মানুষ। তারপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করেছে। জরুরি অবস্থা জারি করার পর ও থামেনি সংঘর্ষ তাই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী। বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কাজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপ পালিয়ে যান বলে জানান দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা। বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া, তার স্ত্রী ও এক দেহরক্ষীসহ চার যাত্রী নিয়ে সামরিক বিমান অ্যান্তোনভ–৩২ মঙ্গলবার মধ্যরাতে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করে। মূলত শ্রীলঙ্কার কোনো আইনেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের বিধান নেই। তবে পদত্যাগের পর গ্রেপ্তার হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া গোতাবায়ার পলায়নের পর বুধবার ভোর থেকেই বিজয় উদযাপনে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর রাস্তায় নেমে এসেছেন দেশটির মানুষ। অনেকেই শহরের প্রধান প্রতিবাদস্থল বলে পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ জমায়েত হয়েছেন।
বিবিসি বলছে, সেখানে তৈরি করা একটি অস্থায়ী মঞ্চে সাধারণ মানুষ উত্তপ্ত বক্তৃতা শুনছেন এবং এই ধারণা উপলব্ধি করছেন যে, সরকার এবং নেতারা তাদের সঙ্গে গভীরভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এসব বক্তৃতার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনতা মানুষ সিংহলী ভাষায় ‘ভিক্টরি টু দ্য স্ট্র্যাগল’ বা ‘সংগ্রামে বিজয়’ স্লোগান দিচ্ছেন।
অন্যদিকে বুধবার সকাল থেকে একদল বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পরে বিক্ষোভকারীদের ওপরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শ্রীলঙ্কান পুলিশ। মূলত বিক্ষোভকারীদের ওই দলটি বুধবার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। সূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার