সবজির বাজার চড়া, কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২১, ২০২১ , ১১:১১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য
দিনের শেষে প্রতিবেদক : সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকাই সবজির দাম বাড়ার কারণ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে উৎপাদন ভালো হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। রাজধানীর কাজীপাড়া, শেওড়া পাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহ কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে কমেছে বলেও জানান তারা।
এসব বাজারে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা করে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি কমেছে পাঁচ টাকা করে। কেজিপ্রতি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে শেওড়া পাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আক্কাস মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে দেশি ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা করে কমেছে। পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় আমরাও দাম কমিয়ে বিক্রি করছি। এসব বাজারে সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, আলু, ভোজ্যতেল এবং গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, সজনে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। মিষ্টি কুমরার কেজি ৩০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি, কলা এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কেজিপ্রতি খিরাই ৪০ থেকে টাকায়, শসা ৫০ টাকায়, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া রসুন ইন্ডিয়ান কেজি ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, দেশি আদা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকায়, পোলাওয়ের খোলা চাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেল লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এসব বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। এছাড়া মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দামও আগের সপ্তাহের মতোই আছে। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকায়, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৬০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১২০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ মাছ ১৬০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুড়া বেলে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।