আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি সরকারকে বিব্রত করতেই ইসি আইনের বিরোধিতা বিএনপির: হানিফ

সরকারকে বিব্রত করতেই ইসি আইনের বিরোধিতা বিএনপির: হানিফ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ২:৫৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  সরকারকে বিব্রত করতেই বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের বিরোধিতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুল উল আলম হানিফ। সোমবার সকালে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বকশিবাজার নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহিদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

হানিফ আরো বলেন, বিএনপি দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা চায় না। বিএনপি নিজেরাও জানে না, তারা কখন কী চায়। নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে সরকারকে বিব্রত করাই বিএনপির লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও বিএনপি বলেছিল, সরকার চাইলে এই অধিবেশনেই আইন পাস করতে পারে। এখন আইনমন্ত্রী যখন সংসদে আইন তুললেন, তখন বললেন তড়িঘড়ি করা হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন আইনের দাবিতে বিএনপি মাঠে আন্দোলনের চেষ্টা করেছিল। তখন কেউ কেউ বলেছিল, তিনদিনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। আর যখনই আইন সংসদে তোলা হল, তারপরই তাদের ভাষার পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন ইস্যুতে বিএনপির ভাষার পরিবর্তনে বোঝা যায়, তারা সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন চায় না।

বিএনপি নির্বাচন ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিতে চায় জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও ৭১’এ যে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল, আজও সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। এখনো সব অগ্রযাত্রা তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, নির্বাচন ব্যবস্থা পঙ্গু করে দিতে চায় তারা।

এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রোববার সংসদে উঠেছে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়নের প্রস্তাব। এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নিয়ম অনুযায়ী এই বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে। কিন্তু আইনটি উত্থাপনের পরপরই এর বিরোধিতা করেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তাদের দাবি, এই আইনে হবে না সুখকর কিছু! রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তা এই আইনটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।