দিনের শেষে প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি করোনা সংকটের শুরু থেকে দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন না করে সরকারের সমালোচনা করছে। এটাকেই তারা কে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল কিংবা দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছে।

শুক্রবার তার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবনে থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে শেখ হাসিনা সরকার ক্রমশ করোনা মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করছে। দেশের প্রায় সোয়া লাখ আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি সুস্থ হয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ ফ্র্ন্টলাইনে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জনপ্রশাসন বাজি রেখে কাজ করছেন। কিন্তু বিএনপি তাদের ধন্যবাদ দিয়ে কথা বলে না। ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের মনোবল যাতে ভেঙে না যায়- সে ধরনের বক্তব্য রাখেন না তারা। বরং নেতিবাচকতা বিএনপিকে এতটাই গ্রাস করেছে যে, তারা দিনের আলোতেও রাতের আঁধার দেখতে পায়।

‘করোনা প্রতিরোধে সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না’- বিএনপির এমন সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আর কত সমালোচনার নামে সমালোচনা করে জাতিকে অসত্য তথ্য দিয়ে যাবে তারা? কাদের বা কোন দেশের পূর্ব প্রস্তুতি শতভাগ ছিল? শেখ হাসিনা সরকার শুরু থেকে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনরাত পরিশ্রম করে সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ করে অসহায় কর্মহীন মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ প্রতিবেশী ভারত ও চীনের মতো দেশও সীমাবদ্ধতা নিয়েই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

‘সরকার তথ্য গোপন করছে’- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রযুক্তি আর সামাজিক যোগাযোগের এই উন্মুক্ত প্রবাহের কালে তথ্য গোপনের কোনো সুযোগ নেই। সরকারের সেই ইচ্ছাও নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধ এবং চিকিৎসায় যেসব সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলোর যথাযথ বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। যত্রতত্র মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, কৌটা ইত্যাদি ফেলে রাখায় একদিকে যেমন দূষণ বাড়ছে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব পরিত্যক্ত সামগ্রী নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যাতে স্বাস্থ্যসম্মত হয়- সংশ্লিষ্টদের সেদিকেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।