সহকর্মীসহ ৩ জন মিলে প্রকৌশলী দেলোয়ারকে হত্যা করেন
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২২, ২০২০ , ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
দিনের শেষে প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৭) নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন (৫০) হত্যা মামলায় তার সহকর্মীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে খুন করে গ্রেপ্তারকৃতরা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারি প্রকৌশলী সেলিম হোসেন, গাড়িচালক হাবিব ও ভাড়াটে খুনি শাহিন হাওলাদার। এদের মধ্যে গাড়িচালক হাবিব ও শাহিন হাওলাদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর সহকারি প্রকৌশলী সেলিম হোসেনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কামরুজ্জামান সরদার। তিনি জানান, গত ১১ মে বিকেল ৪টায় উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ফাঁকা জায়গায় অজ্ঞাতনামা একটি মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে জানা যায় নিহত ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন (৫০) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৭)। পরে নিহতের স্ত্রী খাদেজা আক্তার (৪২) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে তুরাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে কামরুজ্জামান সরদার জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনের সাথে বিরোধ ছিল সহকর্মী সহকারি প্রকৌশলী সেলিম হোসেনের। সেই বিরোধ মেটাতে গিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ভাড়া করা হয় খুনি শাহিন হাওলাদারকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১০০ টাকায় রশি কেনা হয়। এরপর ভাড়া করা হাইস গাড়িতে উঠানোর পরিকল্পনা করা হয়। দেলোয়ারকে গাড়িতে করে তুলে নেওয়ার পর প্রকৌশলী সেলিম তার পাশে বসেন। ভাড়াটে কিলার শাহিন ভিকটিম দেলোয়ার হোসেনের ঠিক পিছনের সিটে বসেন এবং একপর্যায়ে আকস্মিকভাবে ভিকটিমের গলায় রশি পেঁচিয়ে টান দেন। এসময় সেলিম নিজে ভিকটিমকে চেপে ধরেন। হত্যার পর তারা সবাই মিলে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ ১৭ নম্বর সেক্টরে খালি প্লটে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। সেলিমের সঙ্গে নিহত দেলোয়ার হোসেনের দীর্ঘদিনের মতানৈক্য ছিল, এর ফলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেলোয়ারকে খুন করা হয়।