আজকের দিন তারিখ ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় সাঁড়াশি অভিযান আগেই শুরু করা উচিত ছিল

সাঁড়াশি অভিযান আগেই শুরু করা উচিত ছিল


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১১, ২০১৬ , ৪:২৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


2016_06কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক : সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে এখনই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। তারা বলেছেন, এখনই যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা না যায় এবং বিলন্ব হয় তাহলে সন্ত্রাস দমন কঠিন হয়ে পড়বে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া পুলিশের সাঁড়াশি আরো আগে থেকে শুরু করা উচিত ছিল বলেও মনে করেন তারা। এই অভিযান অব্যাহত রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলানায়তনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘সন্ত্রাসবাদ, নৈতিকতা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার : জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত দেন।

সাম্মিলিত নাগরিক সমাজের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. খলীকুজ্জামান আহমদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বত্তব্য রাখেন ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবেদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জামির, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, ডা. নুজহাত চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, এ কে এম হামিদ প্রমুখ।

বৈঠকে কি-নোট উপস্থাপন করেন মেজর জোনারেল আবদুর রশীদ (অব.)। বৈঠক পরিচালনা করেন ম. হামিদ।
ড. খলীকুজ্জামান বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে গতকাল যে অভিজান শুরু হয়েছে তা আরো আগেই শুরু করা উচিত ছিল। এ অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। জঙ্গিদের মূল উৎসে আঘাত হানতে হবে। তাদের অর্থের উৎস ভেঙে দিতে হবে।

খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, খুন বন্ধ করার জন্য পাড়ায় পাড়ায় সর্বদলীয় কমিটি গঠন করতে হবে। আর সন্ত্রাস মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের জামায়াতকে ত্যাগ করতে হবে।

এসময় আবেদ খান বলেন, বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের হত্যা করা হচ্ছে যাতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেন, তারা (সন্ত্রসীরা) অস্ত্র নিয়ে নামছে আর আমরা খালি হাতে থাকলে টিকতে পারব না।

কি নোট পেপারে মেজর জোনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, ১৬ কোটি মানুষকে পুলিশি সুরক্ষা দেয়া অসম্ভব তাই জঙ্গিদের মূল উৎপাটন করে সুরক্ষা করতে হবে। সন্ত্রাসী সংগঠন, নেতৃত্ব ও মদদ-দাতার আঁতাত ভেঙে না দেয়া পর্যন্ত দেশ নিরাপদ হবে না। জঙ্গিদের রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর কুশীলবদের প্রতি নজর রাখতে হবে।