আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// সাত দিনে কমেছে ১০ পণ্যের দাম

সাত দিনে কমেছে ১০ পণ্যের দাম


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২২, ২০২৪ , ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক : চাহিদা কমায় বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ১০ পণ্যের দাম। তবে এখনও ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত পণ্য বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে। ফলে রোজার মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার কিছুটা স্বস্তি মিললেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। রাজধানীর খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বাজারে এদিন প্রতি লিটার বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৬৩-১৬৫ টাকায়, যা সাত দিন আগে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ১৩৫ টাকা ছিল। বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১১০ টাকা ছিল। মাঝারি দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা ১২৫ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৮০ টাকা ছিল। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল। আমদানিকরা আদা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ২৫০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি দারুচিনি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ৫৮০ টাকা ছিল। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে সব পণ্যের দাম কমছে তা রোজার আগেই দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা করে এখন দাম কমানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে এখনও অনেক পণ্য অযৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তদারকির মাধ্যমে সেগুলোর দামও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি হালি (৪ পিস) ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। যা আগে ৪২-৪৫ টাকা ছিল। এছাড়া বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকা। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা। দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। খুচরা বাজারের বিক্রেতারা জানান, বাজারে মান ও দামভেদে সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা রোজার আগে ৭০ টাকা ছিল। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহƒত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহআফজা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি রোজার আগে ১৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়, যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা আগে ২০০ টাকা ছিল। নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা খালেক বলেন, বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এটা একটু হলেও স্বস্তির বিষয়। কিন্তু বাজারে এখনও ইফতার তৈরিতে ব্যবহƒত পণ্যের দাম কমেনি। যে কারণে ভোগান্তি রয়েই গেছে। বিক্রেতারা বাড়তি দামেই বিক্রি করছে। একই বাজারের বিক্রেতা মো. তুহিন বলেন, রোজা উপলক্ষ্যে সব শ্রেণির ক্রেতা বেশি করে পণ্য কিনেছে। যে কারণে তারা এখন বাজারে আসছেন না। চাহিদা কমে যাওয়ায় বিক্রিও কমেছে। ফলে দাম কমতে শুরু করেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ২৬০-২৭০ টাকা ছিল। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩১০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিল। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল।