আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// সাবরিনা-আরিফ জেলে, ক্যাডার বাহিনীর কী হবে?

সাবরিনা-আরিফ জেলে, ক্যাডার বাহিনীর কী হবে?


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১২, ২০২০ , ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  গ্রেপ্তার হয়েছেন ডা. সাবরিনা আরিফ। আগামীকাল তার পুলিশ তার রিমান্ড আবেদন করবে। এর আগে গত ২৩ জুন করোনার মনগড়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) আরিফুল চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর সেদিনই সন্ধ্যায় থানা-হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকেও।

এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে শুরু করেন নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড। কলেজের কক্ষে কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী। মূলত ওই মামলার অনুসন্ধান করতে গিয়েই বেরিয়ে আসে আরিফুলের নানা অপকর্মের কাহিনী।

জানা যায়, আরিফ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি দিতেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেয়ার হুমকি দেন আরিফুল। তার সার্বিক কাজে সহোযোগিতা করতেন তার চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনা।

জেকেজির বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।

থানা ও থানার বাইরে হামলা চালানোর ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে জেকেজি যেসব জিনিসপত্র ভাড়া বা ব্যবহারের জন্য এনে ফেরত দেয়নি তার জন্য একটি মামলা করা হয়েছে। বাকি দুটি প্রতারণার মামলা করা হয়। ডা. সাবরিনাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বামীকেও একই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

সাবরিনাকে গ্রেপ্তারের আগে পুলিশের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে জেকেজির প্রতারণা থেকে সাবরিনার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ তার স্বামী আরিফ চৌধুরি জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাবরিনার সক্রিয় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

আজ রোববার তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আদালতে আগামীকাল সোমবার সাবরিনাকে নেয়া হবে। পুলিশ রিমান্ড আবেদন করবে। জিজ্ঞাসাবাদের পর এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হবে।

হারুন অর রশিদ বলেন, এর আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নামে জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজির যেসব সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের সবাই বলেছেন সাবরিনাই জেকেজির চেয়ারম্যান। তাছাড়া তেজগাঁও কলেজে জেকেজির বুথে হামলার অভিযোগ উঠলে সাবরিনাই প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেন। অভিযানের একদিন আগে তিনি নিজে প্রতিষ্ঠান থেকে সরে যান। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কখনই কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করতে পারেন না।

নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে সাবরিনা তার দায় এড়াতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন হারুন অর রশিদ। এতদিন পরে গ্রেপ্তার করা কেন হলো জানতে চাইলে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন।