আজকের দিন তারিখ ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব সিঙ্গাপুরে ধনী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা জিতলেন গৃহকর্মী

সিঙ্গাপুরে ধনী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা জিতলেন গৃহকর্মী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ , ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :   ইন্দোনেশিয়ার একজন গৃহপরিচারিকা করতেন সিঙ্গাপুরের অত্যন্ত ধনী একটি পরিবারে। তার নিয়োগদাতা দেশটির বিশাল এক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মালিক লিউ মুন লিয়ং, যিনি বেশ কয়েকটি বড় বড় কোম্পানির চেয়ারম্যান। মালিকের দায়ের করা চুরির একটি মামলায় আদালতের রায়ে জয়ী হোন গৃহকর্মী। খবর বিবিসির।

ওই পরিবারটি পার্তি লিয়ানির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনলো। তারা রিপোর্ট করলো পুলিশের কাছে। অভিযোগে বলা হলো যে তিনি ওই বাড়ি থেকে বিলাসবহুল কিছু হাতব্যাগ, পোশাক, একটি ডিভিডি প্লেয়ার চুরি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে সূত্রপাত হলো সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে বহুল আলোচিত এক মামলার।

বিত্তশালী ওই পরিবারটির বিরুদ্ধে দীর্ঘ চার বছর আইনি লড়াই-এর পর অবশেষে এই সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেলেন গৃহকর্মী পার্তি লিয়ানি। আদালতে যেসব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যায় যে মিস পার্তিকে মি. কার্লের নতুন বাড়ি পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল, এছাড়া তার অফিসও বিভিন্ন সময়ে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছিল যা স্থানীয় শ্রম আইনের লঙ্ঘন। এবিষয়ে তিনি আগেও অভিযোগ করেছিলেন।

মিস পার্তির বিরুদ্ধে যেসব জিনিস চুরির অভিযোগ আনা হয় তার মধ্যে ছিল ১১৫টি কাপড়, কিছু বিলাসবহুল হাতব্যাগ, একটি ডিভিডি প্লেয়ার এবং জেরাল্ড জন্টা ব্র্যান্ডের একটি দামী হাতঘড়ি। সব মিলিয়ে এসব জিনিসের মূল্য হতে পারে ৩৪,০০০ সিঙ্গাপুরি ডলার।

একজন ডিস্ট্রিক্ট জাজের বিচারে ২০১৯ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে তখন দুই বছর দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তার এই মামলাটি সিঙ্গাপুরে অসাম্য ও বিচার পাওয়ার ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, প্রাথমিকভাবে মিস পার্তিকে কীভাবে চোর বলে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল!

অনেকেই এই মামলাটিকে দেখেছেন সিঙ্গাপুরে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্যের উদাহরণ হিসেবে। সমাজে ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কিভাবে দরিদ্র ও ক্ষমতাহীন মানুষের ওপর নির্যাতন চালায় এবং নিজেদের তৈরি করা আইন থেকে তারা কী ধরনের সুবিধা ভোগ করে।

এই ঘটনায় সিঙ্গাপুরের পুলিশ বাহিনী ও বিচার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে দেখার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সিঙ্গাপুরে যেসব অভিবাসী শ্রমিক কাজ করেন তারা কতোটা ন্যায়বিচার পেতে পারেন এই ঘটনার পর সেই প্রশ্নটিও উঠেছে।