সুরক্ষা সামগ্রী নিম্নমানের, পিপিই-মাস্ক পরেও চিকিৎসকরা করোনায় আক্রান্ত!
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২১, ২০২০ , ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে প্রতিবেদক : ছিল পিপিই, মাস্ক, মেনেছেন সব স্বাস্থ্য নির্দেশিকা তবু করোনার হাত থকে নিজেদের বাঁচাত পারছেন না আমাদের কোভিড যোদ্ধারা। তাই প্রশ্ন উঠেছে তাদের সরবারহকৃত সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন অবস্থা করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে ঘাটতির বড় উদাহরণ যা আরো বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। করোনা কালের চুয়াল্লিশ দিনে বাংলাদেশ। আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে তিন হাজার, মৃতের সংখ্যাও এখন তিন অঙ্কে। তবে এই পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক চিকিৎসকদের সংখ্যা। বেসরকারি হিসেবে অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত কোভিড যোদ্ধাদের সংখ্যা তিনশ’ ছুঁই ছুঁই। করোনা বিপর্যয়ের দুর্দিনে সেবা দিয়েছেন, কাজ করেছেন সামনের সারিতে, মেনেছেন সব স্বাস্থ্যবিধি, ছিল পিপিই, মাস্কসহ সব সুরক্ষা সামগ্রী। তবুও নিয়তি দাঁড় করিয়েছে নির্মম বাস্তবতার জমিনে। ছোঁয়াচে এই রোগের পরীক্ষার রেজাল্ট এসেছে পজেটিভ।সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন, কো-অডিনেশন সেভাবে হয়নি। আমরা পিপিই পরেই কিন্তু ডিউটি করেছি। কেনো জানি মনে হচ্ছে সমস্যা হয়তো পিপিইতে ছিল।
মিডফোর্ট হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, প্রটেকশন ইকুপমেন্ট গুলো যে আমরা পেয়েছি। কিন্তু তার গুণগত মান নিয়ে তো আমরা সেভাবে মন্তব্য করতে পারবো না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে। খোদ হাসপাতাল পরিচালকই সন্তুষ্ট নন সরবারহকৃত এসব সুরক্ষা সামগ্রীর মান নিয়ে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের অধ্যাপক উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, এন৯৫ মাস্ক আমাদের নেই। কিন্তু তার সমমানের মাস্ক আমাদের আছে। কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে, সে বিষয়টি আমরা এখনো অবজারবেশনে রেখেছি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেড় মাসের মাথায় চিকিৎসক আক্রান্তের এই হার জানান দিচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, সামনে আরো বহু বহু রোগী আসবে। কিন্তু এখনই যদি এতজন চিকিৎসক আক্রান্ত হন। সেটা আমাদের শঙ্কার মধ্যে ফেলেছে। যে স্বাস্থ্য সেবা কিভাবে চলবে। আমার মনে একটা প্রশ্ন আসছে, যে চিকিৎসক আক্রান্ত হচ্ছে, তার দায় কি করো নেয়া উচিত। এমন জরুরি সময়ে সেই সুরক্ষা সামগ্রী হয়তো এসেছে, তবে চিকিৎসক আক্রান্তের সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে পুরো স্বাস্থ্যখাত নিয়ে তৈরি হবে নতুন ভাবনা।