আজকের দিন তারিখ ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেকেন্ডের মধ্যেই করোনা শনাক্ত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক্সরে!

সেকেন্ডের মধ্যেই করোনা শনাক্ত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক্সরে!


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ৩১, ২০২০ , ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  মহামারি করোনা ভাইরাসে জেরবার বিশ্বের ১৯৯ টি দেশ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৭ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৭ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন ৩৬ হাজার ২২৬ জন মানুষ। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। এছাড়া সনাক্ত করণের কার্যকর কিটের অভাবে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাথমিকভাবে এই ভাইরাসকে সনাক্ত করা সম্ভব হলে হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যেত। এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে করোনা সনাক্তের বিশেষ এক্স-রে আবিষ্কার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। টিবি রোগ ধরতে আগেও এমন চেস্ট-এক্স রে বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল মুম্বাইয়ের এই সংস্থা। এবার সেই প্রযুক্তির সঙ্গেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জুড়ে দিয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য ফের এমনই এক্স-রে মেশিন বানিয়েছে তারা। এবারের প্রযুক্তি আরও উন্নত। সেকেন্ডের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে, এমনটাই দাবি মুম্বাইয়ের কোয়ারি ডট এআই (ছঁৎব.ধর)ফার্মের।
‘নেচার’ জার্নালে এই এক্স-রে প্রযুক্তির কথাও লিখেছিলেন সংস্থার বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়াররা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালেও সাফল্য মিলেছে। দেখা গেছে, খুব দ্রুত সংক্রমণ ধরে দিতে পারে এই এক্স-রে। খুব তাড়াতাড়ি গোটা ভারতে এই টেকনোলজি ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিইও প্রশান্ত ওয়ারিয়র। তিনি জানান, এক্স-রে টেকনোলজির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলে এই এক্স-রে টেকনোলজির সাহায্যেই সেই সংক্রমণ ধরে দেওয়া যায়। ফুসফুসের অবস্থা কেমন, কতটা গভীরে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, শরীরে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি-না, খুব কম সময় সঠিক রিপোর্ট দিতে পারে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক্স-রে। তাছাড়া, যক্ষ্মা রোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের যে কোনও সংক্রমণ, জরুরি অবস্থা যেমন ফুসফুসের কার্যকারিতা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া, হৃদরোগের সম্ভাবনা সবই নির্ভুল ভাবে ধরে দিতে পারবে এই এক্স-রে টেকনোলজি। সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, কোভিড-১৯ টেস্ট কিট এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। একসঙ্গে অনেক রোগী চলে এলে দ্রুত সংক্রমণ নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। সেখানে ভরসা হতে পারে এই টেকনোলজি। ডাক্তার ও রেডিওলোজিস্টরা এই প্রযুক্তির সাহায্যে সহজেই রোগ ধরতে পারবেন। তাছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়েছে সেটা ধরতে পারলে চিকিৎসাও অনেক তাড়াতাড়ি ও নির্ভুলভাবে হবে।