সোনারগাঁওয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত : ব্যাংক লকডাউন
পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৩, ২০২০ , ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য,সারাদেশ
নারায়ণগঞ্জ (সোনারগাঁও) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার উদ্ধবগঞ্জ এলাকায় হাজী শহিদুল্লাহ প্লাজার দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখার এক সিনিয়র কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাংকের ওই শাখাটি ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার অফিসের কার্যক্রম শেষে বিকালে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ব্যাংকের শাখাটি পুরোপুরি লকডাউন করে দেয়া হয়। তবে সোনালী ব্যাংকের ওই শাখায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা, ঈদ বোনাস ও সরকারি বিভিন্ন লেনদেন কার্যক্রম স্বল্পপরিসরে করা হতে পারে বলে জানান ব্যাংকের এক কর্মকর্তা। সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান জানান, দুদিন আগে আমাদের ব্যাংকের এক সিনিয়র অফিসার অসুস্থ হলে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়টি অবহিত করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআরে প্রেরণ করে। রিপোর্টে তার করোনা পজিটিভ হওয়ায় সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের নির্দেশে বুধবার থেকে আগামী ১৪ দিন পুরো ব্যাংকটিকে লকডাউন করে দেয়া হয়। শাখা ব্যবস্থাপক মতিউর রহমান আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছাড়াও সোনালী ব্যাংক সোনারগাঁও শাখায় বর্তমানে আরও দুজন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসুস্থ রয়েছেন। আমরা আশঙ্কা করছি, ব্যাংকের স্টাফদের মধ্যে আর কারও শরীরে করোনা পজিটিভ থাকতে পারে। এ অবস্থায় ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকলে আমাদের কাছে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। সে জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামের নির্দেশে বুধবার থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ পুরো ব্যাংকটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের শাখাটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও সরকারি অফিসের বিভিন্ন লেনদেন পরিচালিত হয়, সেহেতু ঈদের আগে সরকারি নির্দেশনায় সেই কার্যক্রম স্বল্পপরিসরে চালানো হতে পারে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একের পর এক করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত এক মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬০ জন। এদের মারা গেছে দুজন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন দুজন।