আজকের দিন তারিখ ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস স্বপ্নপূরণ হলো মেসির

স্বপ্নপূরণ হলো মেসির


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১১, ২০২১ , ১২:১২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : ম্যাচের আগে আতশবাজিতে রঙিন হয়ে উঠেছিল মারাকানা স্টেডিয়াম। করোনাকাল হওয়ার পরেও স্বপ্নের ফাইনাল বলে স্বল্পসংখ্যক দর্শক ফিরেছিল। সেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকরা পুরোটা সময় গলা ফাটালেও ম্যাচশেষে বিজয়ীর হাসি হেসেছে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। যে মাহেন্দ্রক্ষণটির জন্য ছিল ২৮ বছরের অপেক্ষা! অবশেষে ১৯৯৩ সালের পর কোপা আমেরিকা ট্রফি জিতে সেই মুহূর্তটি পেয়ে গেছে আকাশী-সাদার দল! তাতে আক্ষেপ ঘুচেছে মহাতারকা লিওনেল মেসির। ক্লাব ক্যারিয়ারে অজস্র অর্জন থাকা এই তারকা অবশেষে জাতীয় দলের হয়েও জিতলেন প্রথম কোনও ট্রফি।
মেসির জন্য এই একটি ট্রফি জয় ভীষণ জরুরি ছিল। ক্লাব ক্যারিয়ারে অজস্র অর্জন থাকলেও বিশ্ব ফুটবলের মানদণ্ডের বিচারে তার হাত ছিল শূন্য। দুবার কোপার ফাইনালে হেরে অভিমানে তো অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন। অবশেষে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে দেখা পেলেন কাঙ্ক্ষিত ট্রফির। এবার অন্তত নিন্দুকদের কথা শুনতে হবে না। পাছে কেউ বলবে না- মেসি জাতীয় দলের চেয়ে ক্লাব দলেই ভালো খেলে থাকেন!
অবশ্য ব্রাজিলের মাঠে তাদের হারিয়ে ট্রফি জেতা তো কম চাট্টিখানি কথা নয়। ফাইনালে মেসি গোল পাননি ঠিক। কিন্তু খারাপও খেলেননি। আর এই ট্রফি জেতার পেছনে মেসিরই সবচেয়ে বড় অবদান। চারটি গোল করে গোল্ডেন বুট জিতেছেন। এরমধ্যে দুটি আবার ফ্রি-কিক থেকে। এছাড়া এসিস্টও করেছেন পাঁচটি। পুরো টুর্নামেন্টে তিনিই ছিলেন দলের প্রাণভোমরা! তাতে টুর্নামেন্টে যৌথ সেরার ট্রফিও উঠেছে তার হাতে। আরেকজন হলেন নেইমার। বন্ধু নেইমার খুব করে চাইছিলেন, আর্জেন্টিনা যেন ফাইনালে উঠে। তাতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা হবে জমজমাট। সেটা হয়েছেও। কিন্তু মেসি ট্রফি জেতায় এবার বঞ্চিত হতে হয়েছে নেইমারকে। জিততে পারলে ব্রাজিল তারকাও নিতে পারতেন প্রথম কোপার জয়ের স্বাদ। কিন্তু তা আর হলো কই? একসময়ের বার্সায় সতীর্থ মেসি ও সতীর্থরা যে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন। তাইতো উরুগুয়ের রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই মেসিকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। মেসিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন নেইমার। মেসিকে শূন্যে উঁচিয়ে সতীর্থদের আনন্দ উদযাপন করাটা ছিল তার কাজের স্বীকৃতি। মেসির নিজেরও আনন্দের কোনও সীমা ছিল না। সতীর্থ সবাইকে জড়িয়ে ধরে উৎসবে মেতেছিলেন। গ্যালারির সামনে গিয়ে সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
অথচ এমন একটি ট্রফির জন্য দীর্ঘ দিন অপেক্ষা ছিল আর্জেন্টিনার। শেষ পর্যন্ত সেই আক্ষেপ ঘুচেছে মেসি নামক ভিনগ্রহের এক ফুটবলারের কল্যাণে! তাই সাফল্যের পালকে আরও একটি মুকুট যোগ করে বাধ ভাঙা উল্লাস তো মেসি-মারিয়াদেরই মানায়!