স্বাস্থ্যকর জয়েন্টের জন্য উপকারি এই খাবারগুলো
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ৮:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: লাইফ স্টাইল
কাগজ অনলাইন ডেস্ক: অস্থিসন্ধি আপনার শরীরের অত্যন্ত চমৎকার একটি অংশ। এদের কারণেই আপনি দৌড়াতে পারেন, ছবি আঁকতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন এবং ঘরের নানা প্রকারের কাজ করতে পারেন। বেশীরভাগ মানুষই জয়েন্টের বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব দেন না যতক্ষণ না জয়েন্টে ব্যথা হয়, ফুলে যায় বা শক্ত হয়ে যায়। বয়স বৃদ্ধি পেলে বা অসুখের কারণে জয়েন্টের সমস্যা দেখা দেয়। জয়েন্টের এই সমস্যাগুলোর উন্নতি ঘটানো যায় খাবারের মাধ্যমে। সেই খাবারগুলোর কথাই আজ আমরা জানবো।
১। সাইট্রাস ফল
আপনি যদি আপনার শরীরের জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে বিভিন্ন প্রকারের সাইট্রাস ফল যেমন- কমলা, আঙ্গুর, লেবু, জাম্বুরা, আনার, জাম ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিৎ আপনার। এই ফলগুলো ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ এবং এগুলোতে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান থাকার পাশাপাশি কোলাজেন তৈরিতেও সাহায্য করে। কোলাজেন এমন একটি উপাদান যা জয়েন্টের গঠনে ও জয়েন্টকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করে। তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো খেলে অস্থিসন্ধি ভালো থাকে এবং অস্থির সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।
২। লাল মরিচ
লাল মরিচে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি শরীরে কোলাজেন সৃষ্টিতে সাহায্য করে যা কার্টিলেজ, টেন্ডন ও লিগামেন্টের অংশ। কার্টিলেজ, টেন্ডন ও লিগামেন্ট জয়েন্টকে একসাথে ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩। আখরোট
আপনি যদি মাছ বা মাংস ছাড়া ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড পেতে চান তাহলে আপনাকে আখরোট খেতে হবে। এই অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড জয়েন্টের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। আখরোট উদ্ভিজ প্রোটিনের চমৎকার উৎস। ওটমিল বা ময়দার সাথে আখরোটের গুঁড়া মিশিয়ে চমৎকার মাফিন তৈরি করা যায়।
৪। শশা
শশাকে খুবই সাধারণ খাবার মনে হতে পারে। কিন্তু এতে ফাইবার, পানি, ভিটামিন ও খনিজের উপস্থিতি ও বিদ্যমান। শশাতে সিলিকা থাকে যা জয়েন্টকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৫। কারি ডিশ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রচলিত মাংস ও সবজি দিয়ে রান্না করা তরকারি যেমন জনপ্রিয় তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে। কারণ এটি রান্নার সময় বিভিন্ন ধরণের মসলা ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে হলুদ অন্যতম। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদে কারকিউমিন নামক অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান থাকে যা জয়েন্টের ব্যথা, ফোলা ও কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৬। ওটমিল
ইনফ্লামেশনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ওটমিল। অন্যদিকে ময়দার ঠিক বিপরীত প্রভাব দেখা যায়। বাদামী চাল এবং বার্লির ও ওটমিলের মত গুণ আছে যা জয়েন্টের জন্য উপকারি।
কিন্তু কোন এক প্রকারের খাবার খেয়ে জয়েন্টকে সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি ব্যায়াম এবং সঠিক যত্নই আপনার জয়েন্টগুলোকে ঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে।