স্মার্ট হতে যে ১০টি কাজ ভুলেও করবেন না
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০১৬ , ২:০৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: লাইফ স্টাইল
অনলাইন লাইফস্টাইল ডেস্ক: ‘স্মার্ট’ কথাটির যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ কী হবে তা বলা কঠিন। এককথায় ‘স্মার্ট’ বলতে এমন কাউকে বোঝায়, জীবনের সর্বক্ষেত্রে যথাযথ ভারসাম্য রক্ষা করে যে চলতে পারে। এখানে রইল ১০টি কাজের কথা, স্মার্ট হতে চাইলে যেগুলো করা একেবারেই উচিৎ হবে না।
১. অতীতকে বর্তমানের চেয়ে বেশি প্রাধান্য না দেয়া:
অতীত সেটাই যা চলে গেছে। অতীত নিয়ে ভেবে আপনার বর্তমান জীবনকে ভারাক্রান্ত করার কোন মানে হয় না। অতীতকে একটা বিগত বিষয় বলে ভেবে হালকাভাবে নিতে শিখুন।
২. নেতিবাদী চিন্তাকে কখনও গুরুত্ব দেবেন না:
যে স্বপ্ন আপনি দেখতে পারেন তাকে সফল করার ক্ষমতাও আপনার রয়েছে— এমনটাই ভাবুন। কখনও নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকে বড় করে দেখবেন না।
৩. জীবনের সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না:
সমস্যা প্রত্যেকের জীবনে রয়েছে। আপনি যদি সত্যিই স্মার্ট হতে চান তাহলে সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না। বরং সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করুন।
৪. অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী ভাবছে তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না:
আপনার জীবন আপনাকেই যাপন করতে হবে। আপনার সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। আপনার সাফল্য বা ব্যর্থতার ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। তাহলে খামোখা অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী ভাবছে, তা নিয়ে আপনি বিচলিত হতে যাবেন কেন!
৫. সময় নষ্ট করবেন না:
স্মার্ট হতে চাইলে সময়ের কাজ সময়ে করুন। পাশাপাশি কর্মবহুল জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন। অবসরটাকেও কাজে লাগান। নিছক শুয়ে-বসে না থেকে অবসর সময় এমন কোন কাজ করুন যার দ্বারা আপনি উপকৃত হবেন।
৬. তাৎক্ষণিক সাফল্যকে বেশি গুরুত্ব দেবেন না:
আমরা যে সময় ও সমাজে বাস করি সেখানে অবশ্য হাতে হাতে সাফল্যকেই বেশি বড় করে দেখা হয়। কিন্তু আপনাকে এই প্রবণতার বাইরে বেরোতে হবে। সবসময় ভাবুন যে, আপনার কাজের বৃহত্তর একটা লক্ষ্য রয়েছে। সেদিকে নজর রেখে এগিয়ে যান। ছোট ছোট সাফল্য বা ব্যর্থতাগুলো সেক্ষেত্রে মূল্যহীন হয়ে যাবে।
৭. আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়গুলো নিয়ে বেশি ভাববেন না:
পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র কেমন হবে সে নিয়ে ভেবে লাভ আছে কি কোন? বরং আপনি ভাবুন আপনার প্রস্তুতি নিয়ে। কারণ সেটা আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়।
৮. যারা সম্মান করেন না তাদের সাথে বেশী সময় নয়:
এইসব মানুষের সঙ্গ আপনার আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। যারা আপনার অক্ষমতাগুলোকে বড় করে দেখে বা হাসি-তামাশা করে, তাদের নির্দ্বিধায় এড়িয়ে চলুন।
৯. অহঙ্কার করবেন না:
অহঙ্কার এমন একটা বিষয় যা অন্য মানুষদের থেকে আপনার দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। অথচ ভেবে দেখুন, অন্য মানুষের সাহায্য ছাড়া একা একা আপনার পক্ষে জীবনের পথে চলাও তো সম্ভব নয়। কাজেই অহঙ্কার ত্যাগ করে বিনয়ী হতে শিখুন।
১০. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলবেন না:
যারা আপনাকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত হবেন না। অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানান তাদের। এতে শুধু তারা খুশি হবেন তা নয়, দেখবেন আপনারও ভাল লাগবে।