সয়াবিন তেলের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান, সোমবার থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করবে টিসিবি
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১১, ২০২২ , ২:৫২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
সানি আজাদ : সয়াবিন তেলের অনিয়ম নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর আশকোণায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের কর্মকর্তারা। সেখান থেকে কয়েশ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা দেয়া হয়। এদিকে, চট্টগ্রামে বেশি দামে ভোজ্য তেল বিক্রির অভিযোগে জামাল এন্ড ব্রার্দাস নামে একটি দোকানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুপুরে নগরীর কর্ণেল হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্ধারিত দামের বেশি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে, সাতক্ষীরার সাকারমোড়ে অভিযান চালিয়ে গুদাম থেকে ৪৮০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আটক করেছে ভোক্তা অধিকার। এদিকে, আগামী সোমবার (১৬ মে) থেকে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, তারিখ নির্ধারিত হলেও কী পরিমাণ পণ্য বরাদ্দ ও সেগুলোর দাম এখনো নির্ধারিত হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে বৈঠক করে সেটা নির্ধারণ করা হবে। ওই বৈঠকে টিসিবির সয়াবিন তেলের দাম কত হবে সে বিষয়টি জোরালোভাবে প্রাধান্য পাবে। কারণ টিসিবি বিক্রয় কার্যক্রম শুরুর পর থেকে দফায় দফায় সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। সেজন্য বাজারদরের সঙ্গে সয়াবিনের দাম সমন্বয় হবে কি না, নাকি আগের দামে প্রতি লিটার ১১০ টাকায় বিক্রি হবে, এই সিদ্ধান্ত দেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এ বছর ১১তম বার সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করছে টিসিবি। চলতি অর্থবছরের প্রতি মাসেই পণ্য বিক্রি করেছে সংস্থাটি। তবে ঈদের আগে ২৪ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত পণ্য বিক্রি কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। শেষ দফায় গত এপ্রিলে টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, ১১০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ২ থেকে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছিলেন। আর মসুর ডাল ৬৫ টাকা কেজি। অন্যদিকে রোজার মাসকে কেন্দ্র করে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে সারাদেশে তালিকাভুক্ত এক কোটি পরিবারের কাছে ফ্যামিলি কার্ডের সুলভ মূল্যের পণ্য বিতরণ করেছিল টিসিবি। আগামী জুনের পর সরকার এ ধরনের আরেকটি কর্মসূচি হাতে নেওয়ার চিন্তা করছে বলেও কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।