আজকের দিন তারিখ ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য ১১ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ

১১ মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৮, ২০১৬ , ৭:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


orthonitকাগজ অনলাইন ডেস্ক: চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) দেশে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ আয় ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।

বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি আয় সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩০২ কোটি ডলার। আর গত অর্থবছরে এ সময়ে আয় হয়েছিল দুই হাজার ৮১৪ কোটি ডলার।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ২২ কোটি ডলার। সেই হিসেবে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।

ইপিবি বলছে, গত মে মাসে ৩০২ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে। এই আয় গত ২০১৫ সালের মে মাসের ২৮৪ কোটি ডলারের চেয়ে ৬ দশমিক ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৮১ দশমিক ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। এ সময়ে খাতটির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫০৮ কোটি ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের ২ হাজার ২৯১ কোটি ডলারের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি।

পোশাক খাত থেকে চলতি অর্থবছর ২ হাজার ৭৩৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় এসেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের খাত থেকে। এ খাতের আয় ১০২ কোটি ৯২ লাখ ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের ১০৯ কোটি ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ কম।

এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে হিমায়িত খাদ্যে ১০১ কোটি ডলার, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮২ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইলে ৬৯ কোটি ডলার, কৃষিজাত পণ্যে ৫৩ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে।

ইপিবির সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিষ বসু বলেন, দেশের বাইরে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। ধারাবাহিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তার প্রমাণ।

তিনি বলেন, বছরের শুরুতে বিভিন্ন কারণে যেসব ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন বলে চিন্তা করছিলেন, তারা সবাই এখন বাংলাদেশ থেকে পণ্য কিনছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মপরিবেশের উন্নতি করায় রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রপ্তানিতে বড় ধরনের মন্দায় চলতি অর্থবছর শুরু হয়েছিল। জুলাই মাসে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি কমেছিল ১২ শতাংশ। আগস্ট মাসে রপ্তানি বাড়ে প্রায় ২৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। চতুর্থ মাসে এসে আবার ঘুরে দাঁড়ায় রপ্তানি খাত।

অন্যদিকে, অক্টোবর মাসে প্রবৃদ্ধি হয় ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ। নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি নেমে আসে ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশে। ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয় ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। পরবর্তী দুই মাসও একই ধরা অব্যাহত ছিল।