আজকের দিন তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড

২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৬, ২০২২ , ৫:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :   ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর সমুদ্রে ভাসতে থাকা ২০ বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান সমঝোতার ভিত্তিতে উদ্ধার করা জেলেদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পরবর্তী তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে এসব বাংলাদেশি জেলেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। টুইটারে উদ্ধার অভিযানের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সাগরদ্বীপ থেকে প্রায় ১৬৬ কিলোমিটার দূরে মাঝসমুদ্রে আন্তর্জাতিক সীমায় ওই ২০ জেলের দেখা পায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ঝড় আঘাত হানার পরে সমুদ্রে বিপদে পড়া লোকদের উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। চালু করা হয়েছিল ডরনিয়ার বিমান। সেই বিমান থেকেই ২০ জেলেকে সাগরে ভাসতে দেখা যায়।

সিত্রাংয়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছানাউল হক মন্ডল জানিয়েছেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় সর্বোচ্চ ছয় ফুট পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে ৩২৪ মিলিমিটার।

‘সিত্রাং’-এর আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, আমাদের পূর্বাভাস ছিল, এটা বরগুনা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে যাবে। কিন্তু পরে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নেওয়ার কারণে পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় সতর্কতার শুরু থেকেই আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন।

৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে আনা হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ৪১৯টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছয় হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং এক হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। উপকূলীয় জেলা ছাড়াও কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ এমনকি ঢাকাতেও আঘাত হেনেছে।