আজকের দিন তারিখ ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় ৬০ শতাংশ পরিবারে মেয়েদের বাল্যবিবাহ

৬০ শতাংশ পরিবারে মেয়েদের বাল্যবিবাহ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৬, ২০২৩ , ২:৪৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি পরিবারে বাল্যবিবাহের প্রবণতা রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এসব পরিবারের যেসব মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা পুত্রবধূ হিসেবে যারা এসেছে তাদের ৬০ শতাংশেরও বেশির বয়স বিয়ের সময় ১৮ বছর কম ছিল। এছাড়া ৫৬ শতাংশ বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের মাধ্যমিক পাশ করার আগেই বিয়ে হয়েছে। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘চাইল্ড ম্যারেজ: ট্রেন্ডস অ্যান্ড কজেস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারপারসন মেহের আফরোজ, বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (যুগ্মসচিব) সালেহা বিনতে সিরাজ। ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কে এ এম মোর্শেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ‘বর্ন টু বি অ্যা ব্রাইড, চাইল্ড ম্যারেজ :ট্রেন্ডস অ্যান্ড কজেস’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচির (সেলপ) প্রধান শাশ্বতী বিপ্লব। বাল্যবিবাহের প্রবণতা ও কারণ জানতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি ২৭টি জেলার প্রায় ৫০ হাজার খানায় এই জরিপ জরিপ চালিয়েছে। জরিপের তথ্য বলছে, এসব জেলায় ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হয়। গবেষণায় দেখা যায় বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের ৬ দশমিক ৯ শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পিরোজপুর, সেখানে বাল্যবিবাহের হার ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ। বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে কম নেত্রকোনায় ২৪ দশমিক ১ শতাংশ। বাল্যবিবাহের তালিকায় থাকা অন্য জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সেখানে ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ, নওগাঁয় ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং জয়পুরহাটে ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া যোগ্য পাত্র পাওয়ার কারণে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ অভিভাবক। বাল্যবিবাহের কারণ হিসেবে ১৮ শতাংশ দারিদ্র্য, যৌতুক কম বা না চাওয়ার কারণে ১০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কথা বলছেন ৭ শতাংশ, পড়ালেখায় ভালো না হওয়ার কারণে ৬ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণের কথা বলেছেন ১৫ শতাংশ। মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, বাল্যবিবাহ নিয়ে যেসব গবেষণা হয় সব একই ধরনের ফল। যেসব ছেলেরা অল্প বয়সি মেয়েদের বিয়ে করছে তাদের নিয়ে কোনো গবেষণা হচ্ছে না। অথচ এ বিষয়ে গবেষণা হওয়া দরকার। সালেহা বিনতে সিরাজ বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য এসডিজি। এর প্রধান অন্তরায় বাল্যবিবাহ। গবেষণার কোনো অংশে যদি এমন উপাত্ত থাকত যে সরকার কী কী কাজ করেছে, তাহলে ভালো হতো। অথচ বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।