৬ জনের প্রাণ নিলো ঘূর্ণিঝড় ‘টাউটি’
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৬, ২০২১ , ২:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////
দিনের শেষে ডেস্ক : মহামারি করোনার ভয়াবহ অবস্থা সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে ভারত। এমন সময় প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘টাউটি’ আঘাত হেনেছে দেশটিতে। টাউটির তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও লণ্ডভণ্ড হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। খবর আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ‘টাউটি’ এগিয়ে এসেছে স্থলভাগের আরো কাছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতে- শনিবার রাত আড়াইটার দিকে গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে ছিলো ঝড়টি।
শনিবার রাতে কর্নাটকে চারজন এবং কেরলে দুইজনের প্রাণ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় টাউটি। কর্নাটক প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়ে চারজন মারা গেছেন এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্নাটকের উপকূলে আংশিকভাবে আঘাত হেনেছে টাউটি। ঝড় থেকে মানুষকে রক্ষায় এক হাজার জনের একটি মোকাবিলা দল কর্নাটকের তিনটি উপকূলবর্তী জেলায় জরুরি ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।
আজ রোববার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও গুজরাট, অর্থাৎ ভারতের পশ্চিম উপকূল জুড়েই ঝড়ের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। ঝড়ের দাপটে গোয়ায় কিছু জায়গায় উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। এমনকি গোয়ার একটা বড় অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একইসঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা।
ঝড়ের জন্য গোয়ার কিছু এলাকায় বন্ধ রয়েছে কয়েকটি ট্রেনও। পরিস্থিতি সামাল দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ’র উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি ঝরবে। শুধু তাই নয় কেরল, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালের দিকে টাউটি আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে গুজরাটের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরটি। এর আগে শনিবার ঘূর্ণিঝড় টাউটি নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে তিনি বেশকিছু নির্দেশনা দেন। মোদি বলেন, এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় যেনো কোনো সমস্যা দেখা না দেয়। হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিসেবা যাতে ভালো ভাবে দেয়া হয়।