৬ টি অভ্যাস ভাল রাখবে আপনাকে
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ২:৪১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: লাইফ স্টাইল
অনলাইন লাইফস্টাইল ডেস্ক: ভাল থাকতে চাই আমরা সবাই। কিন্তু বড় হতে হতে ভুলে যাই নিজের এমন অনেক অভ্যাস যা ছোটবেলা থেকে ছিল আমাদের ভাল থাকার সঙ্গী। Society for Personality and Social Psychology এর সাম্প্রতিক একটি স্টাডিতে দেখা গেছে মানুষের সুখী হওয়ার পেছনে দারুণ ভূমিকা রাখে তার সখগুলো। মিলিয়ে নিন, এই শখগুলো যা হয়ত একদিন ছিল আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী, ফিরিয়ে আনুন এদের আবারো জীবনে, ফিরিয়ে আনুন ছোট ছোট সুখ।
বাদ্যযন্ত্র
মন ভাল করে দিতে মিষ্টি সুরের বিকল্প কি কিছু আছে? ক্লান্তি বোধ হলেই আমরা গান শুনি। কখনো শুধু যন্ত্রের মূর্ছণা আমাদের আপ্লুত করে। মনকে প্রশান্ত করে। আপনি যদি কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন তাহলে কখনোই নিজের এই সখকে হারিয়ে যেতে দেবেন না। মিউজিক জীবনে দেয় প্রাণ, দূর করে যাবতীয় স্ট্রেস! তাই মিউজিককে সাথেই রাখুন।
সংগীত
সংগীত বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারার মতোই আরেকটি গুণ যা হয়ত এক সময় ভালবাসতেন আপনি। ছোটবেলায় হয়ত সংগীতশিল্পী হবারই স্বপ্ন ছিল আপনার। বড় হতে হতে হারমোনিয়ামের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। ফিরিয়ে আনুন পুরোনো ভালবাসাকে। সকাল শুরু করুন প্রিয় গান গেয়ে। দেখবেন দিনটাও ভাল যাচ্ছে সহজেই, মন থাকছে সবসময় ফুরফুরে।
বই পড়া
যখন পড়াশোনা করাই ছিল একমাত্র কাজ, তখন স্কুল, কলেজের বইয়ের ফাঁকে লুকিয়ে গল্পের বই পড়েন নি এমন মানুষ নিশ্চয়ই পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এক সময় আর লুকিয়ে পড়বার যখন প্রয়োজন নেই, তখন কোথায় যেন হারিয়ে গেল বই পড়ার সখটা। কাজের ফাকে আবার জীবনে নিয়ে আসুন হুমায়ুন, শীর্ষেন্দু বা সমরেশ মজুমদারকে।
ডায়রী লেখা
নিজের জীবনের দিনগুলোকে কাগজে তুলে রাখা কিন্তু দারুণ অভ্যাস। মন খারাপগুলোকে নীল ডায়েরিতে পুরে রেখে দেওয়া যায় শেলফে। সাথে নিজের ভেতরের লেখনীশক্তির চর্চাও হয়। প্রতিদিন ডায়েরি লিখুন, নিজের কথা লিখুন, নিজেকে জানুন, ভালবাসুন।
রান্না করা
সপ্তাহে অন্তত একদিন রাধুন শখের কিছু। কেক বানাতে পারেন। একেবারেই শখের কাজ হিসেবে করুন। প্রতিদিনই হয়ত রান্না করা হয়, কিন্তু শখ করে কিছু তৈরি করা মনকে অন্যরকম শান্তি দেয়।
ভ্রমণ
আপনার শখ কি ভ্রমণ করা? হাইকিং, ট্রাকিং? নাকি সমুদ্রে পা ডুবিয়ে শুধু চুপচাপ প্রকৃতিকে উপভোগ করা? যাই হোক আপনার ভাল লাগা, কাজের চাপে আর যাওয়া হয় না- এই দীর্ঘশ্বাস থেকে নিজেকে মুক্তি দিন। ঘুরে বেড়ান যতটা সম্ভব। স্ট্রেস দূর তো হবেই, একবার মনের মত একটা ট্যুর থেকে আসার পর আপনি দেখবেন, জীবনের যে সমস্যা নিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন তা আসলে এতটাও জটিল নয়। ভাবনার সব জট খুলে দেবে ভ্রমণ।